ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেব্রুয়ারির গোড়াতেও দেশজুড়ে শীতের ঝোড়ো ইনিংস অব্যাহত। সিকিম-সহ হিমালয়ের পাদদশের রাজ্যগুলিতে তুষারপাতে বিরাম নেই। তারই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে তার দোসর হল ভূমিকম্প (Earthquake)। সাতসকালে ৪.৯ মাত্রার কম্পনে কেঁপে উঠল সিকিম (Sikkim), কম্পন অনুভূত হল হিমালয়ের অপর প্রান্ত তাজিকিস্তানেও। সিকিম সংলগ্ন এলাকায় নেমেছে ধস। ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও তেমন পাওয়া না গেলেও, কম্পনপ্রবণ এলাকাটি এই মুহূর্তে বেশ বিপজ্জনক অবস্থানে রয়েছে বলে মত পরিবেশবিজ্ঞানীদের। তাই আফটারশকের আশঙ্কাও রয়েছে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮.২২ নাগাদ আচমকাই কেঁপে ওঠে সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশ। কম্পন অনুভূত হয় রাজধানী গ্যাংটকেও। রিখটার স্কেলে মাত্রা ৪.৯। কম্পনের উপকেন্দ্র পশ্চিম সিকিম থেকে ১৭০ কিমি দূরে ইউকসুম এলাকার উত্তর-পশ্চিমে। যদিও কম্পনের পর আফটারশক হয়নি বলে খবর। শীতের মরশুম শেষের মুখেও একটানা তুষারপাত চলছে হিমালয় লাগোয়া এলাকায়। পরিবেশবিজ্ঞানীদের মত, টানা তুষারপাতের জেরে ভূগর্ভ আর ভূপৃ্ষ্ঠের তাপমাত্রার বড়সড় ফারাক হচ্ছে। তাতেই বাড়ছে চ্যুতি এবং কম্পনের প্রবণতা। এমন আবহাওয়া থাকলে আগামী দিনে এই অংশে আরও বেশ কয়েকটি ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
হিমালয়ের পাদদেশে কম্পন নতুন কিছু নয়। ভূপ্রকৃতিগত কারণেই এসব এলাকা কম্পন প্রবণ। তবে শীতের মাঝে এই কম্পনের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা। ভঙ্গিল পর্বত হিমালয়ের গঠনেও পরিবর্তন আসছে, বাড়ছে তার উচ্চতা। ফলে ওই এলাকার মাটি এই মুহূর্তে স্থিতিশীল নয়। মাটির অভ্যন্তরে নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলছে। আর তার প্রভাবেই মঙ্গলবারের ভূমিকম্প বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.