সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে অচেতন গৃহবধূকে উদ্ধারে গিয়ে মৃত্যু হল পাঁচ জনের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার রায়গড় জেলার দূর্গি গ্রামে। মৃত গৃহবধূর নাম রশ্মিতা কাদ্রকা। তিনি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে নামার পর উঠে আসেননি। তাই দেখে একে একে চার যুবক ওই সেপটিক ট্যাঙ্কে নামলে প্রত্যেকেই অচেতন হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা পরে ট্যাঙ্কের ঢাকনা ভেঙে ছ’জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় খ্রিস্টান হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পাঁচজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উদ্ধারকারী এক যুবক এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
জানা গিয়েছে, রশ্মিতাদেবীর বাড়ির শৌচাগারে নতুন সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। মাসখানেক পুরনো সেই সেপটিক ট্যাঙ্কে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। স্বামীকে বলেও কোনও সুরাহা না হওয়ায় এদিন নিজেই বিশদে দেখতে যান ওই গৃহবধূ। এজন্য সেপটিক ট্যাঙ্কে ঢুকে পড়েন তিনি। ভিতরের দুর্গন্ধ যুক্ত গ্যাসে জ্ঞান হারান তিনি। এদিকে অনেকটা সময় কেটে গেলেও ওই গৃহবধূর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। কী হয়েছে দেখতে ট্যাঙ্কে নেমে পড়েন পেশায় রাজমিস্ত্রী এক প্রতিবেশী যুবক। তিনিও সেপটিক ট্যাঙ্কের গ্যাসে অচেতন হয়ে যান। এই দেখে গ্রামেরই চার যুবক ওই দু’জনকে উদ্ধার করতে ট্যাঙ্কে নামেন। দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও ওই চার যুবকের কেউই উপরে উঠে আসেননি। এরপরই আতঙ্কিত বাসিন্দারা সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢাকনা ভেঙে ফেলেন। তারপর আটকে পড়া ছ’জনের অচেতন দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধারের পর তড়িঘড়ি স্থানীয় খ্রিস্টান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ চিকিৎসকরা ওই পাঁচজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি আরও এক যুবক এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেপটিক ট্যাঙ্কের গ্যাসেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ওই পাঁচজনের। তবে চিকিৎসাধীন যুবক আদৌ বাঁচবেন কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.