সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৫৩ তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের। একাধিক পণ্যে এবার জিএসটি কমানোর সিদ্ধান্ত নিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই তালিকায় রেলের প্লাটফর্ম টিকিটের পাশাপাশি রয়েছে দুধের কৌটোও। জানা যাচ্ছে, আগে প্লাটফর্ম টিকিট কাটতে গেলে তার জন্য গুনতে হত বাড়তি জিএসটি। এবার তা জিএসটি মুক্ত করা হয়েছে। রেলের অন্যান্য পরিষেবাকেও জিএসটি মুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সব রকম দুধের কৌটোতে ১২ শতাংশ জিএসটি লাগুর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফলে দুধের দাম কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আগে এক্ষেত্রে বাড়তি কর গুনতে হত গ্রাহকদের।
শনিবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে ট্যাক্স ডিমান্ড নোটিশের উপর জরিমানার সুদ মকুবের সুপারিশ করা হয়। এর পাশাপাশি কার্টন বক্স ও সোলার কুকারে ১২ শতাংশ জিএসটি লাগুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি সব দুধের কৌটোয় ১২ শতাংশ হারে জিএসটির সুপারিশ করা হয়েছে এই বৈঠকে। উল্লেখযোগ্যভাবে এবার পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকা হোস্টেলগুলিকে জিএসটি মুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একঝলকে দেখে নেওয়া যাক ঠিক কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে।
রেল পরিষেবা
ভারতীয় রেলের তরফে যে পরিষেবাগুলি দেওয়া হয় তার সবগুলোকে জিএসটি মুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জিএসটি কাউন্সিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্ল্যাটফর্ম টিকিট, রিটায়ারিং রুম, ওয়েটিং রুম, ক্লোকরুম এবং ব্যাটারি-চালিত গাড়ির পরিষেবাকে জিএসটির আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে। বলার অপেক্ষা রাখে না এই প্রস্তাব কার্যকর হলে উপকৃত হবেন দূর পাল্লার ট্রেন যাত্রীরা।
বেসরকারি হোস্টেল
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে যে হোস্টেলগুলিতে পড়ুয়ারা থাকতেন তার জন্য জিএসটি গুনতে হত পড়ুয়াদের। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে থাকা হোস্টেলে এই নিয়ম প্রযোজ্য ছিল না। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকা হোস্টেলগুলিকে জিএসটি মুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের জেরে উপকৃত হবেন দেশের পড়ুয়ারা।
পণ্যে জিএসটি
জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সোলার কুকারের ক্ষেত্রে জিএসটি ১২ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ করে জিএসটি কাটা হয়। এবার তা কমানো হচ্ছে। এছাড়া ১৮ শতাংশ জিএসটি যুক্ত কার্টন বক্সের জিএসটি কমিয়ে ১২ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন দেশের কৃষকরা। এর পাশাপাশি সব দুধের কৌটোতে ১২ শতাংশ হারে জিএসটি লাগুর সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও, সারা দেশে আধার-ভিত্তিক বায়োমেট্রিক সনাক্তকরণ নিশ্চিত করার ব্যবস্থাও করা হবে। এতে জাল ইনভয়েসের মাধ্যমে জাল ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট নেওয়ার ঘটনা রোধ হবে। এর পাশাপাশি মামলার সংখ্যা কমাতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে আরও একটি সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। জিএসটি আপিল ট্রাইব্যুনালের আর্থিক সীমা বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। একই পরিমাণ হাইকোর্টের জন্য ১ কোটি টাকা ও সুপ্রিম কোর্টের জন্য ২ কোটি টাকা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.