সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগীর রাজ্যে ফের বিষমদের রমরমা! ইতিমধ্যে ওই বিষাক্ত পানীয় খেয়ে ছ’জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৫ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় শুক্রবার প্রয়াগরাজের (Prayagraj) আমিল্লা গ্রাম থেকে এক দেশি মদের দোকানের মালিক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। ওই দোকানের মদের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঘটনার সূত্রপাত। আমিল্লা গ্রামের এক দেশি মদের ঠেকে বসে মদ্যপান করেন আশপাশের গ্রামের কয়েকজন। সেদিন রাতে বাড়ি ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। শুরু হয় বমি ও পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। পরিস্থিতি খারাপ হতেই তাঁদের নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ১৫ জন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক যুবকের মা জানিয়েছেন, আমিল্লা গ্রামের ওই দেশি মদের ঠেকে মদ্যপানের পরই তাঁর ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। একই অভিযোগ করেছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকিদের পরিবারও। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই দোকানের মালিক দম্পতির বিরুদ্ধে চোরাই মদ বিক্রির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তারপরেও ওই এলাকায় তিনটি মদের ঠেক চালায় তারা। এর পিছনে প্রশাসনিক গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে ওই দম্পতির ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ এনেছেন কেউ কেউ।
এদিকে এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন প্রয়াগরাজের জেলাশাসক ভানু চন্দ্র। তিনি জানিয়েছেন. ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদেহগুলি অটোপসিতে পাঠানো হয়েছে। মদের নমুনাও পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। দুটোর রিপোর্ট এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। ধৃত দোকান মালিক দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছর চোরাই মদ বিক্রির অভিযোগে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) ও পড়শি রাজ্য উত্তরাখণ্ড থেকে ১৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই ধরনের মদ তৈরির অভিযোগ আরও ১৫০ জনকে আটক করা হয়। এই ঘটনার বছর ঘোরার আগেই প্রয়াগরাজের বিষমদ কাণ্ড যোগী সরকারকে নিসন্দেহে চাপে ফেলবে। এর আগে ২০১১ সালে বিষমদ খেয়ে উত্তরপ্রদেশে ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.