বাবুল হক: বয়স ৬৪। কিন্তু তাতে কীই বা আসে যায়! পুরুষ মানুষের আবার বিয়ে করার বয়স আছে নাকি? ব্যস বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়তে পারলেই হল। তাহলেই তো কেল্লাফতে। তবে এ যাত্রায় কেল্লা আর জয় করা হল না ৬৪ বছরের আসাক আলির। ১৪ বছরের কনেকে বিয়ে করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে সোজা শ্রীঘরে ঠাঁই হল উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের বাসিন্দার। বৃহস্পতিবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে মালদহের মানিকচক থানার নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বরমপুর গ্রামে।
[পারিবারিক বিবাদের জের, স্ত্রীর মুণ্ডচ্ছেদ স্বামীর]
পুলিশ সাত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই মালদহে এক পরিচিতের বাড়িতে এসে উঠেছিল আসাক আলি। নিজের জন্য উপযুক্ত পাত্রীর খোঁজে ছিল সে। এমন এক পাত্রীর খোঁজও মেলে। হতদরিদ্র দিনমজুরের এক ১৪ বছর বয়সের কন্যা। পাত্রীর বাবার তেমন রোজগার ছিল না। আর মা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই মেয়ের ‘দায়’ ঘাড় থেকে নামাতে চাইছিলেন কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা। এই সুযোগই কাজে লাগায় আসাক। গোপনেই বসে বিয়ের আসর। তবে পুলিশের সৌজন্যে শেষরক্ষা আর হল না।
[নিজের কর্মস্থলেই বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু নার্সের, ধুন্ধুমার আমরিতে]
এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার ফোন আসে মানিকচক থানায়। সেই সূত্র ধরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বিয়ের আসর থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় বৃদ্ধকে। নাবালিকাকে উদ্ধার করে চাইল্ডলাইনের কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, কেবল সাধ-আহ্লাদ পূরণ করতে এ বিয়ে নাও হতে পারে। এর নেপথ্যে কোনও বড় পাচারচক্রের হাতও থাকতে পারে। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। দরিদ্র ঘরে মেয়েদের এভাবেই প্রথমে বিয়ের ফাঁদে ফেলা হয়েছে। তারপর ভিনরাজ্যে নিয়ে গিয়ে জোর করে দেহব্যবসা করানো হয়েছে। এই ঘটনায় তেমন কোনও যোগ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
[লালঝান্ডা ফেলে এখন হাতে পুঁথি মজিদ মাস্টারের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.