সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃতির প্রতিশোধ? সবুজ প্রকৃতি তথা ভৌগলিক চরিত্রকে গুরুত্ব না দিয়ে মানুষের লাগামছাড়া অপকর্মেই কি বিভীষিকার মুখোমুখি উত্তরের দুই রাজ্যে ? পরিবেশবিদরা কিন্তু এমনটাই বলছেন। একটানা বৃষ্টি ও হড়পা বানের জেরে হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮১। নিখোঁজ শতাধিক। উদ্ধারকাজ জারি থাকলেও অসহায় পরিস্থিতি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর। ভূমিধসের কারণে বহু পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছাতেই পারছেন না তারা। হিমচলের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এই ক্ষতি সামলে উঠতে এক বছর লাগবে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, একটানা না হলেও আগামী কিছুদিন ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকবে বিপর্যস্ত দুই রাজ্যে। বুধবার হিমাচল প্রশাসন জানিয়েছে, গত তিনদিনের বৃষ্টিপাতে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। ১৩ জন নিখোঁজ। রবিবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে একাধিক জেলায় বিপদ বাড়ছে। ভূমিধসে রাস্তা বন্ধ, নদীর জলে উপচে প্লাবিত বহু এলাকা। ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বৃহস্পতিবারেও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি রাজ্য। গত ২৪ জুন হিমাচলে বর্ষা প্রবেশ করেছিল। এই ৫৪ দিনে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৭৪২ মিলিমিটার। সরকারি হিসেবে এখনও পর্যন্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ২১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও পাশাপাশি ১৭৩১ জন নাগরিককে নিরাপদ স্থানে সরাতে পেরেছে প্রশাসন। হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা সামলে উঠতে এক বছর লাগবে।
এদিকে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পড়শি রাজ্য উত্তরাখণ্ডও ভাল নেই। সেখানে সরকারি হিসেবে দুর্যোগের বলি ১০ জন। ধসে নেমে বন্ধ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। কার্যত রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাউড়ি-কোটদ্বার-দুগদ্দা জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্তব্ধ। পিপলকোটি ভরেনপানি এলাকায় ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের একাংশ জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। দুর্যোগের মধ্যেই রাস্তা মেরামতির কাজে নেমেছে প্রশাসন। এদিকে, বৃষ্টিতে হড়পা বান নেমেছে পঞ্জাবেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.