সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুরে জাতি হিংসার নেপথ্যে বড়সড় ভূমিকা রয়েছে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিদের। দীর্ঘদিন ধরেই আশঙ্কা করছিলেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। এবার এ নিয়ে পোক্ত প্রমাণ চলে এল সেনার কাছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, মণিপুরে ফের অশান্তির আগুন লাগাতে মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে ৯০০ কুকি জঙ্গি। চলতি মাসের শেষেই বড়সড় সংগঠিত হামলার ছক কষেছে তারা।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ইতিমধ্যেই ওই ৯০০ কুকি জঙ্গি ৩০ জন করে দলে বিভক্ত হয়ে মণিপুরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। এরা প্রত্যেকে রীতিমতো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালাতে অভ্যস্ত, জঙ্গলে যুদ্ধ চালানোর পদ্ধতিও তাঁদের নখদর্পণে। ঠিক যেভাবে ইজরায়েলে হামাস জঙ্গিরা ড্রোন হামলা চালায়, কুকি জঙ্গিরাও সেই একই ধাঁচে হামলা চালাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ২৮ সেপ্টেম্বর নাগাদ ওই হামলা হতে পারে বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন।
অবশ্য গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে সতর্ক নিরাপত্তারক্ষীরা। মণিপুরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং বলছেন, “যতক্ষণ না আমরা নিশ্চিত হচ্ছি কোনও হামলা হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্যকে ১০০ শতাংশ সত্যি ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।” যদিও সেনার তরফে এখনও মণিপুরবাসীকে সতর্ক করে এখনও কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। বা ড্রোন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়নি।
উল্লেখ্য, মণিপুরে সক্রিয় রয়েছে প্রায় বহু কুকি জঙ্গি গোষ্ঠী। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার মতে, এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দিচ্ছে চিন ও আইএসআই। মায়ানমারের জঙ্গিদের ব্যবহার করেই ভারতে সন্ত্রাসের ব্লু প্রিন্ট তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্রও অবশ্য সতর্ক। ইতিমধ্যেই ভারত-মায়ানমার সীমান্ত সিল করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার বিস্তৃত ওই সীমান্ত সিল করতে খরচ হবে ৩১ হাজার কোটি টাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.