ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণ করে নাবালিকাকে খুন। এবার ঘটনাস্থল লাখিমপুরের খেড়ি জেলা। মঙ্গলবার রাতে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে তার দেহ। নাবালিকার গ্রাম থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে অবস্থিত ওই পুকুরটি। ১০ দিনের মধ্যেই দু’টি ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
নাবালিকার পরিবার সূত্রে খবর, গত সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোয় বছর সতেরোর নাবালিকা। বৃত্তির ফর্মপূরণের কাজে পাশের গ্রামে যাচ্ছে বলেই জানিয়েছিল সে। তবে পরিবারের দাবি, রাত বাড়লেও বাড়ি ফেরেনি নাবালিকা। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁর পরিজনেরা। নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। সেই অনুযায়ী খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ। তারপরই নাবালিকার গ্রাম থেকে ২০০ মিটার দূরে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় তার দেহ। এ প্রসঙ্গে খেড়ির শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক সত্যেন্দ্র কুমার বলেন, “ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে এসে গিয়েছে পুলিশের। তাতেই মিলেছে ধর্ষণ করে খুনের প্রমাণ। তবে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।”
এর আগে গত ১৪ আগস্ট বিকেলে নিখোঁজ হয়ে যায় এক কিশোরী। পরেরদিন লখনউ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে একটি আখের খেত থেকে ১৩ বছরের ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, দেহ উদ্ধারের সময় ওই কিশোরীর চোখ খোবলানো এবং জিভও কাটা ছিল। যদিও একদিন পর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সেসব কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়াও ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি বলেও দাবি পুলিশ। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, চোখ খোবলানো ছিল না। শুধুমাত্র চোখের কাছে সামান্য আঘাতের প্রমাণ মিলেছে। তবে একের পর এক এই ধরনের ঘটনায় স্বাভাবিক যোগীর রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.