ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অমানুষিক পরিশ্রম করানো হলেও খেতে দেওয়া হত না। বাধ্য হয়ে ঘরের ডাস্টবিন ফেলা উচ্ছিষ্ট খেতে বাধ্য হত ১৪ বছরের নাবালিকা। ঠিক মতো কাজ না করার অজুহাতে প্রতিদিন মারধর করা হত তাকে। এমনকী যৌন নির্যাতন চালানোরও অভিযোগ উঠেছে। বাড়িতে আটকে রেখে পরিচারিকার উপর এমনই নারকীয় অত্যাচার চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হরিয়ানার (Haryana) গুরুগ্রামের (Gurgaon) বাসিন্দা এক দম্পতিকে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। একটি সংস্থার মাধ্যমে নিজেদের তিন মাসের কন্যসন্তানকে দেখাশোনা করার জন্য ওই কিশোরীকে ঝাড়খণ্ড (Jarkhand) থেকে নিয়ে এসেছিলেন দম্পতি। অভিযোগ, নানা অজুহাতে বছর চোদ্দোর ওই কিশোরীকে মারধর করত দম্পতি। রাতে ঘুমতো দেওয়া হত না, ঠিক মতো খেতে দেওয়া হত না তাকে। বাধ্য হয়ে সে ঘরের ডাস্টবিন থেকে উচ্ছিষ্ট তুলে খেতো। এমনকী ঠিক মতো কাজ না করা এবং খাবার চুরির অভিযোগে নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। সম্প্রতি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সখীর (Sakhi) সংস্থার অভিযোগ পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশকর্মীরা জানান, কিশোরীর সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। মুখে ও হাতে সবচেয়ে বেশি আঘাত রয়েছে। অভিযোগ, তাকে লাঠি দিয়ে মারা হত। লোহার শিক গরম করে গায়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হত বলেও অভিযোগ। কিশোরীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তার উপর ঠিক কী ধরনের যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে তা জানতে শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে, জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া দম্পতির বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষা আইন এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
গত বছর আগস্টে পরিচারিকার উপর অমানবিক অত্যাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হওয়া নেত্রী সীমা পাত্রকে।পরিচারিকাকে গরম তাওয়া দিয়ে মারা হত। শুধু তাই নয়, মেঝেতে পড়ে থাকা প্রস্রাব চাটানোর মতো গুরুতর অভিযোগও ওঠে সীমার বিরুদ্ধে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.