প্রতীকী চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত এক যুবক পুলিশের পিস্তল ছাড়িয়ে পালাতে গিয়ে গুলি খেল অভিযুক্ত। গণধর্ষণে অভিযুক্ত ছিল ৪ যুবক। তাদের মধ্যে ২ অভিযুক্ত গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। কোর্টে তোলার সময় পুলিশের পিস্তল ছাড়িয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পায়ে গুলি খায় এক অভিযুক্ত। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মিরাটের (Meerut) ঘটনা। ওই নির্যাতিতার বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাড়ি ফিরে সে আত্মহত্যা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একদিন বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরয় সে। সোওয়া ৫টা নাগাদ তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। উদ্ধার করে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নামে সারধানা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে একটি স্যুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। যেখানে লখন, বিকাশ-সহ ৪ জনের নাম পাওয়া যায়। এর পর তল্লাশি চালিয়ে লখন, বিকাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ শনিবার তাদের আদালতে তোলা হচ্ছিল। সেই সময় কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মীর পিস্তল ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে মিরাটের পুলিশের সার্ভলেন্স বিভাগ মাঠে নামে। এর পর জানা যায় কাপসাদ নামে এক গ্রামে লুকিয়ে রয়েছে অভিযুক্তরা। শুরু হয় পুলিশ অভিযান।
কাপসাদ গ্রামে পুলিশ দেখে গুলি চালাতে শুরু করে অভিযুক্তরা। পালটা গুলি চালালে লখনের পায়ে লাগে। তার পর আর তার পক্ষে পালানো সম্ভব হয়নি। ২ অভিযুক্তই ফের ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। লখনকে হাসপালাতে পাঠানো হয়েছে।
মিরাট পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধর্ষণের পর বিষক্রিয়া মৃত্যু এবং স্যুইসাইড নোট উদ্ধার সহ গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। ২জন গ্রেপ্তার হলেও বাকি ২ অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.