সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, ন্যাঁড়া নাকি একবারই বেলতলায় যায়। কিন্তু তামিলনাড়ুর সুলুরের নেহরু নগরের বাসিন্দা দীনেশের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারেই অন্যরকম। পরপর দু’টি ভেঙে যাওয়া সত্ত্বেও তৃতীয়বার বিয়ের পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। পাত্রী খুঁজতে ম্যাট্রিমনি সাইটে প্রোফাইলও খুলেছিলেন। খোঁজ পেতেই অগ্নিশর্মা প্রাক্তন দুই স্ত্রী। রাগ মেটাতে স্বামীকে জুতোপেটা করলেন তাঁরা। সঙ্গত দিল প্রাক্তনদের পরিজনেরাও।
অর্থ রোজগার শুরু করতে না করতেই ২০১৬ সালে প্রথমবার বিয়ে করেন দীনেশ। তবে প্রিয়দর্শিনী নামে ওই তরুণীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদে বিশেষ সময় লাগেনি। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। ১০ এপ্রিল কারুরের পশুপতিপালায়মের বাসিন্দা বিবাহবিচ্ছিন্না অনুপ্রিয়া নামে এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে করেন দীনেশ। কিন্তু বিয়ের পর সুখী দাম্পত্য হল কই? অভিযোগ, প্রতিনিয়ত দীনেশ তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে পণের জন্য চাপ দিত। শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিচ্ছেদের রাস্তা বেছে নেন অনুপ্রিয়া।
দুই স্ত্রীর সঙ্গে সুখের সংসার হয়নি তো কী? তৃতীয় বিয়ে করতে চান দীনেশ। সেই অনুযায়ী ম্যাট্রিমনি সাইটে বিজ্ঞাপন দেন ওই যুবক। সে খবর রটতে অবশ্য বিশেষ সময় লাগেনি। একথা জানতে পারেন দীনেশের প্রথম স্ত্রী প্রিয়দর্শিনী এবং দ্বিতীয় স্ত্রী অনুপ্রিয়া। নিজেদের মধ্যে যুক্তি করে রাসিপালায়মে দীনেশের অফিসের সামনে পৌঁছন দু’জনে। তবে নিরাপত্তারক্ষীদের বাধায় অফিসে ঢুকতে পারেননি দুই তরুণী। তবে তাতে দমে যাওয়ার পাত্রী নন তাঁরা। বাইরেই দীনেশের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন তাঁরা। বহুক্ষণ পর অফিস থেকে বেরোয় দীনেশ। হাতের নাগালে পাওয়ার পর আর সময় নষ্ট করেননি প্রিয়দর্শিনী এবং অনুপ্রিয়া। জুতো খুলে দীনেশকে মারতে শুরু করেন তাঁরা। ওই দুই তরুণীর পরিজনেরাও দীনেশকে মারধর করে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় লোকজন ভিড় জমাতে থাকেন। বেধড়ক মারধরের মাঝেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। মহিলাদের হাত থেকে দীনেশকে উদ্ধার করা হয়। আপাতত পুলিশ হেফাজতেই রাখা হয়েছে দীনেশকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.