সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলা সামরিক সংঘাতে ‘গদ্দারি’ করেছে তুরস্ক। ভারতে হামলা চালাতে শুধু ড্রোন দিয়ে সাহায্য নয়, পাকিস্তানে সেনাও পাঠিয়েছিল তারা। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই দু’মুখো সাপ তুরস্কের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি উঠছে সর্বস্তরে। ইতিমধ্যে জেএনইউ এবং জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে। এবার তুরস্কের বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনার সংস্থা সেলেবি এভিয়েশনকে নিয়ে প্রশ্ন উঠল। যারা দিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু-সহ একাধিক ভারতীয় বিমানবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছে। প্রশ্ন হল, বিশ্বাসঘাতক তুরস্কের সংস্থার হাতে ভারতের বিমানবন্দরগুলির দায়িত্ব থাকা কতখানি নিরাপদ? উঠছে সংস্থাটিকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি। অবশেষে লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হয়ে সংস্থার লাইসেন্স।
বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনায় বিশ্বখ্যাত সংস্থা সেলেবি। প্রিমিয়াম এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ সার্ভিস দিয়ে থাকে তারা। তিন মহাদেশের ছয়টি দেশের বহু বিমানবন্দরের দায়িত্বে সেলেবি। মোট কর্মীর সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি। ভারতেও দুটি আলাদা নামে (সেলেবি এয়ারপোর্ট সার্ভিস ইন্ডিয়া এবং সেলেবি দিল্লি কার্গো টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট ইন্ডিয়া) ‘গ্রাউন্ড অপারেশনে’র কাজ করে থাকে কোম্পানিটি। দেশের নয়টি প্রধান বিমানবন্দর, যথাক্রমে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, আমেদাবাদ, গোয়া, কোচিন, এবং কুন্নুরে গ্রাউন্ড অপারেশনে’র কাজ করে তারা। ৫৮ হাজারের বেশি উড়ানের ৫৪০,০০০ টন পণ্য পরিবহণের কাজ করে। ভারতে আনুমানিক ৭,৮০০ জন কর্মী রয়েছে সংস্থাটির।
পহেলগাঁও কাণ্ড পরবর্তী ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে তুরস্কের ভূমিকার পর প্রশ্ন উঠছে, বিমানন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তুরস্কের সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া কতটা ঠিক। এর ফলে কি বিপদ হতে পারে বিমানবন্দরে, উড়ানগুলিতে। বিঘ্নিত হতে পারে জাতীয় নিরাপত্তা! উল্লেখ্য, গতকালই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ‘বয়কট তুরস্ক’-এর দাবি তুলেছে। এখন সেলেবি এভিয়েশনকে ভারত থেকে তাড়ানোর দাবি উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.