ইচ্ছাশক্তির জোরে আকাশে উড়ান দেবে চা-বিক্রেতার মেয়ে আঁচল

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইচ্ছাশক্তির জোরে চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে মানুষ, চড়েছে হিমালয়ে, যাওয়ার সাহস দেখিয়েছে সমুদ্রের অতলে৷ যে ইচ্ছাশক্তিকে পাথেয় করে চা-বিক্রেতা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি৷ সেই শক্তিতে বলীয়ান হয়েই ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগদান করলেন আরও এক চা-বিক্রেতার মেয়ে, আঁচল আগরওয়াল৷

[পরিষেবা দিতে ব্যর্থ যোগী সরকার, রাস্তা সারাইয়ে নামলেন খোদ মন্ত্রী]

মধ্যপ্রদেশের নিমুছ ডেলার বাসিন্দা সুরেশ আগরওয়াল, পেশায় চা-বিক্রেতা৷ এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে কোনও মতে দিন গুজরান করেন তিনি৷ ছোট থেকেই লেখাপড়ায় ভাল ছিলেন আঁচল৷ কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল না হওয়ায় সর্বদাই থাকত ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা৷ মনে মনে ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগদানের ইচ্ছা থাকলেও প্রথমে তা মুখ ফুটে বাবাকে বলতে পারেননি আঁচল আগরওয়াল৷ ২০১৩-তে উত্তরাখণ্ডের ভয়াবহ বন্যা এবং দুর্গতদের উদ্ধারে বায়ুসেনা জওয়ানদের কাজ সাহস জোগায় আঁচলের মনে৷ জওয়ানদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অবশেষ বাবাকে নিজের মনের কথা জানান তিনি৷ মেয়ের স্বপ্নের কথা জেনে, প্রথমে কিছুটা থমকে যান চা-বিক্রেতা সুরেশ৷ ভাবেন, অর্থের জোগান কীভাবে হবে? তবে মেয়েকে বাধা দেননি৷ সাহস দেন বায়ুসেনার প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার জন্য৷ ২০১৩ থেকে প্রবেশিকাতে বসতে শুরু করেন আঁচল৷ সফলতা মেলে পাঁচ বারের চেষ্টায়, ২০১৮-র ৭ জুন৷

[সীমারেখা পেরলে সুজাত বুখারির পরিণতি হবে, সাংবাদিকদের হুমকি বিজেপি নেতার]

প্রবেশিকায় অংশগ্রহণ করেছিল প্রায় ছ’লক্ষ পরীক্ষার্থী৷ কিন্তু তাঁদের মধ্যে থেকে পাশ করেছে মাত্র ২২ জন৷ যাঁদের মধ্যে আঁচল একজন৷ স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আনন্দ ধরে রাখতে পারেননি তিনি৷৷ জানান, ইচ্ছাশক্তিকে সম্বল করেই তাঁর এই সাফল্য এসেছে৷ মধ্যপ্রদেশ থেকে এই পরীক্ষায় একমাত্র সুযোগ পেয়েছে তিনি একাই৷ এখন একডাকেই সবাই তাঁর চায়ের দোকানকে চিনে যায়৷ গর্ব করে জানান সুরেশ আগরওয়াল৷ মেয়ের স্বপ্ন সত্যি হতে দেখে খুশি তিনিও৷ ভারতীয় বায়ুসেনার হায়দরাবাদ অ্যাকাডেমিতে আগামি ৩০ জুন যোগদান করার কথা রয়েছে আঁচল আগরওয়ালের৷