ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃতির রুদ্ররোষে কেরলের ওয়ানড় (Wayanad) মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়েছে। বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছিল অনেককেই। তাঁদের অনেকেই দাবি করলেন, বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে সেখানে হানা দিয়েছে চোররা! এহেন পরিস্থিতিতে রাতের টহলদারি বাড়ানোর আর্জি প্রশাসনের কাছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহু বাড়ি খালি পড়ে রয়েছে। কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে অনেক গ্রামই। আর সেই সুযোগে রাতে সেখানে ঢুকে পড়ে বাড়ি থেকে জিনিসপত্র লুঠ করছে দুষ্কৃতীরা। এক ভুক্তভোগী বলছেন, ”আমরা ধসের কারণে নিরাপদ স্থানে চলে যাই বাড়ি ছেড়ে। কিন্তু যখন আমরা ফিরলাম, দেখলাম দরজা-জানলা ভাঙা।” জামাকাপড় চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। উঠছে অভিযোগ।
এহেন পরিস্থিতিতে শনিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উপদ্রুত এলাকায় বিনা অনুমতিতে যারা প্রবেশ করার চেষ্টা করবে কিংবা আক্রান্তদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ পারমিশন ছাড়া রাতে ওই সমস্ত এলাকায় এমনকী বিপর্যয় মোকাবিলার নামেও ঢোকা যাবে না।
প্রসঙ্গত, এই ভূমিধসের ঘটনায় ওয়ানড়ের অন্তত ৩৫০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় বার বার বিঘ্নিত হয়েছে উদ্ধারকাজ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুরামালা ও মুন্ডাক্কাই গ্রামের মধ্যে বেইলি ব্রিজটি বানিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। যার পর থেকে ওই পথে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে যেতে পারছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গত পাঁচদিন ধরে চলছে উদ্ধারকাজ। সরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা ২১৫। নিখোঁজ ২০৬ জন। যদিও বেসরকারি মতে সংখ্য়াটা অনেক বেশি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.