স্টাফ রিপোর্টার: পানাজি- চ্যাপ্টার ক্লোজড ছিলই। এবার স্ট্রেট ব্যাটে খেলে গোটা বিতর্কে আরও জল ঢেলে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। গোয়ার সাংবাদিক বৈঠকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই অভিষেকের ঠান্ডা মাথার জবাব, ‘‘কী বলেছেন কল্যাণবাবু? মমতাদি ওঁর নেত্রী আর বাকি কাউকে মানেন না। আমিও তো তাই বলছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)আমার নেত্রী। বাকি মানি না। তাহলে বিরোধ কোথায়?’’
এর আগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো বিস্ফোরণের সুরে জানিয়েছিলেন, একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তিনি নেত্রী বলে মানেন, অন্য কাউকে নয়। অভিষেকের নামও এ প্রসঙ্গে টানেন তিনি। এনিয়ে বিতর্ক উঠতেই কল্যাণের ‘বাক্যবাণ’ সামলাতে আসরে নামেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা। এবার বস্তুত কল্যাণের কথার প্রতিধ্বনি ঘটিয়েই বিতর্কের বল নিজের কোর্ট থেকে সরিয়ে দিলেন অভিষেক।
এখানেই শেষ নয়, এরপর যখন প্রশ্ন ওঠে কল্যাণ তো অভিষেককেও আক্রমণ করেছেন, তার জবাবে তিনি আরেক নতুন তত্ত্ব হাজির করে বলেন, ‘‘এর থেকে বোঝা যায় তৃণমূল কংগ্রেসে কংগ্রেসের মতো কোনও হাইকমান্ড কালচার নেই। দলে গণতন্ত্র আছে।’’ অভিষেক অত্যন্ত স্বাভাবিক মেজাজে চলতি বিতর্ক নিয়ে এমনভাবে উপসংহার টানায় বিরোধী শিবির এবং জল্পনার ধারক বাহকরা হতাশ। তৃণমূলের একাধিক নেতা এরপর বলেছেন, স্বয়ং অভিষেক নিজেই যেখানে বারবার বলছেন মমতাদিই তাঁরও নেত্রী, সেখানে অকারণ জলঘোলা করে আরোপিত বিতর্ক নিয়ে রাজনীতি করার কোনও অবকাশ নেই।
এদিন হলদিয়ায় দুই তৃণমূল নেতার বিশৃঙ্খল আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে কড়া শাস্তির বিষয়ে অভিষেক বলেন,
‘‘একদম ঠিক পদক্ষেপ হয়েছে। যত বড় নেতাই হোন, অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না।’’ উল্লেখ্য, শিল্পমহলও রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের এই কড়া পদক্ষেপে খুশি। দল শিল্পক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জোর দিচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.