সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে ফের করোনার কবলে দুধের শিশু। কেরলের পর এবার মহারাষ্ট্রে তিন বছরের শিশুর শরীরে বাসা বাঁধল লোভেল করোনা ভাইরাস।
মঙ্গলবারই COVID-19 ভাইরাসে আক্রান্ত মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রের ৬৪ বছরের বৃদ্ধের। আর তারপরই মাত্র তিন বছরের শিশুর আক্রান্ত হওয়ার খবর উঠে এল শিরোনামে। সে রাজ্যে এখন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৯। এই মারণ ভাইরাসে দেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মহারাষ্ট্রই। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বাড়ছে রাজ্যবাসীর মধ্যে। বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, “কল্যাণে বসবাসকারী ৩৩ বছরের মহিলা এবং তাঁর ৩ বছরের কন্যা সন্তানের শরীরে ১৬ মার্চ করোনার জীবণু ধরা পড়ে। তার দিন দুয়েক আগে থেকেই মহিলার স্বামীর চিকিৎসা চলছিল।”
বর্তমানে মহারাষ্ট্রের জনজীবন কার্যত স্তব্ধ। স্কুল-কলেজ থেকে সিনেমা হল, জিম- সব বন্ধ। করোনা মোকাবিলায় যে কোনওরকম জমায়েতের উপরও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেন, “আগামী ১৫ থেকে ২০ দিন আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেককে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গত দুই-তিন সপ্তাহে বিষয়টা (করোনার প্রভাব) আরও প্রকোট হয়েছে। তাই সরকার কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায় না।”
এদিকে, এ দেশে করোনার থাবায় প্রথম প্রাণ হারিয়েছিলেন কর্ণাটকের ৭৬ বছেরর এক বৃদ্ধ। যে চিকিৎসকের অধীনে সেই রোগী ছিলেন, এবার জানা গেল যে তিনিও করোনায় আক্রান্ত। সৌদি থেকে ফেরা কালবুর্গির বৃদ্ধ গত ১২ মার্চ জীবণযুদ্ধে হার মানেন। এবার করোনার কবল থেকে রক্ষা পেলেন না চিকিৎসকও। যাঁরা অনলস পরিশ্রম করে মানুষকে করোনামুক্ত করার চেষ্টা করছেন, তাঁরা যে কতটা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন সেটাই এবার প্রমাণিত। কালবুর্গির ডেপুটি কমিশনার জানান, ৬৩ বছর বয়সি ওই চিকিৎসক ও তাঁর পরিবারকে বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে। যতদিন যাচ্ছে, কর্ণাটকেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এদিনই ব্রিটেন থেকে ফেরা ২০ বছরের এক মহিলা এবং আরেক ব্যক্তির শরীরে মিলেছে করোনার জীবাণু। তাঁদের ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.