সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমনিতেই সে ঋণভারে জর্জরিত, রুগ্ন। কারণ ঘাড়ে রয়েছে মোট ৩.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দেনার বোঝা। রোগ সারিয়ে, চাঙ্গা করতে তার বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। অথচ এরই মধ্যে বেরিয়ে এল সর্ষের মধ্যেই ভূত! তথ্য জানার অধিকারের আওতায় প্রকাশ, স্বয়ং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেই এই বিমান সংস্থার পাওনা ৮২২ কোটি টাকা। কিন্তু কীভাবে? উত্তর, ভিভিআইপিদের চার্টার্ড ফ্লাইটের ভাড়া বাবদ। তা-ও আবার ২০১৯-র ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
তবে বকেয়ার অঙ্কটা শুধুমাত্র ৮২২ কোটি টাকাতেই সীমাবদ্ধ নয়। আরটিআই-এর জবাবে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার খরচ বাবদ কেন্দ্রের কাছে তাদের আরও ৯.৬৯ কোটি টাকা প্রাপ্য। এছাড়া বিদেশি অতিথি-অভ্যাগতদের বিশেষ উড়ানের জন্য ১২.৬৫ কোটি টাকাও মেটানো বাকি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ভিভিআইপিদের চার্টার্ড ফ্লাইটের ভাড়া বাবদ বকেয়া থাকা যে ৮২২ কোটি টাকা বাকি, তার মধ্যে ৫২৬.১৪ কোটি টাকাই ধারে নেওয়া টিকিট-বাবদ জমা হয়েছে (২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত হিসাবে)। আবার এই ৫২৬.১৪ কোটি টাকার মধ্যে ২৩৬.১৬ কোটি টাকা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মেটানো বাকি।
রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপিদের জন্য চাটার্ড বিমানের ব্যবস্থা করে এয়ার ইন্ডিয়া। সাধারণত এই সংক্রান্ত বিল মন্ত্রকের তরফেই মিটিয়ে দেওয়ার কথা। এক্ষেত্রে যা হয়নি। প্রসঙ্গত, এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ অংশীদারিত্ব বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। জানুয়ারির শেষেই সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৮ সালেই সরকারি বিমান সংস্থাটির সিংহভাগ শেয়ার বেসরকারি সংস্থার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। তবে অলাভজনক ‘এয়ার ইন্ডিয়া’র নিলামে কেউই আগ্রহ প্রকাশ করেনি। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই এবার ১০০ শতাংশ অংশীদারিত্ব বিক্রি করার কথা ভাবছে সরকার। এয়ার ইন্ডিয়া কেনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে টাটা গোষ্ঠী। এয়ার ইন্ডিয়া কিনে নেওয়ার জন্যে টাটা গোষ্ঠী গাঁটছড়া বাঁধতে পারে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সঙ্গে। ইতিমধ্যে প্রাথমিক কথাবার্তাও শুরু হয়ে গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.