সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাজপেয়ীর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। বেশ কিছুদিন ধরেই অস্ফুটে এ অভিযোগ করে আসছিল বিরোধীরা। কিন্তু বিরোধীদের সেসব কানাঘুষোয় কান না দিয়ে পুরোদস্তুর অটল আবেগকে কাজে লাগাতে আসরে নেমে পড়ল গেরুয়া শিবির। কার্যকারিণী সভার প্রথম দিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ স্লোগান দিয়েছিলেন অজেয় ভারত। দ্বিতীয় দিন সেই স্লোগানের সঙ্গে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নয়া সংযোজন অটল বিজেপি। অর্থাৎ ২০১৪ সালে আচ্ছে দিনের সাফল্যের পর উনিশের ভোটের জন্য নয়া বুলি তৈরি করে ফেলল গেরুয়া শিবির। ‘অজেয় ভারত, অটল বিজেপি।’
কার্যকারিণী সভার দ্বিতীয় দিন দলীয় নেতাদের সামনে ঝাঁঝালো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্যের বর্ণনা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৯-এ বিরোধী জোটকে চ্যালেঞ্জই মনে করছেন না। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, আঞ্চলিক দলগুলি কোনওভাবেই কংগ্রেসের নেতৃত্ব স্বীকার করবেন না। মোদির ভাষায়, বিরোধী জোটের নেতৃত্বের কোনও ঠিকানা নেই, নীতি অস্পষ্ট, আর লক্ষ্যভ্রষ্ট। মোদি বলেন, “যারা আগে মুখ দেখাদেখি করতেন না তাঁরা আবার জোট করছে, শুধু আমাদের কাজে বাধা দেওয়ার জন্য।” কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, “বিরোধীরা কোনও চ্যালেঞ্জই নয়, গণতন্ত্রে বিরোধী থাকা প্রয়োজন, কিন্তু যে দলটা শাসক হিসেবে এতদিন ব্যর্থ হয়েছে, তাঁরা এখন বিরোধী হিসেবেও ব্যর্থ।”
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এদিন জোর গলায় বলেন, উনিশ তো বটেই আগামী ৫০ বছর বিজেপিই দেশ শাসন করবে। অমিত বলেন, “এটা আমাদের দম্ভ নয়, আমরা যা কাজ করেছি তাঁর ভিত্তিতেই বলছি, আগামী ৫০ বছর আমরাই দেশ শাসন করব।” বিজেপি নেতারা বিরোধীদের ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেও বিরোধী জোট ভাঙার কৌশলও শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, মায়াবতীকে শিবিরে টানতে দলিত নেতা কাশীরামকে ভারতরত্ন দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। তবে, এদিনের সবচেয়ে বড় শিরোনাম কিন্তু বিজেপির স্লোগান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন বুলিতে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করেছেন বিজেপি নেতারা। একদিকে, অজেয় ভারতে জাতীয়তাবাদ এবং দেশপ্রেম, অন্যদিকে অটল বিজেপির স্লোগানে বাজপেয়ী আবেগ এবং সহানুভূতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা। বিজেপির এই কৌশল আদৌ সফল হয় কিনা সেটা অবশ্য সময় বলবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.