সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটক মসনদ থেকে সরে আসার পরও মেঘ কাটছে না গেরুয়া শিবিরে। এবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব জানিয়েছেন, ইয়েদুরাপ্পার পর কেন্দ্র সরকারের এবার ইস্তফা দেওয়া উচিত। অখিলেশের ইঙ্গিত যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে, তা বলাই বাহুল্য।
[ কোথায় গেল দেশভক্তি, বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ রাহুলের ]
কর্ণাটক বিধানসৌধ নির্বাচনে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারেনি বিজেপি। এদিকে জেডিএসের সঙ্গে জোট করে বিজেপির থেকে এগিয়ে যায় কংগ্রেস। কিন্তু একক বৃহত্তম দল হওয়ায় বিজেপিকেই সরকার গড়ার ডাক দেন রাজ্যপাল। এরপর উঠতে থাকে নানা প্রশ্ন। গোয়া, বিহারের মতো রাজ্যে যারা একক বৃহত্তম দল হয়েছিল তারা চিঠি দেয়, তাদের ক্ষেত্রে কেন জোটকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল? এরই মধ্যে কর্ণাটকে কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। আদালতের নির্দেশে আস্থা ভোটের বন্দোবস্ত করা হয়। কিন্তু আস্থা ভোটের আগেই কর্ণাটকের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা।
ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফার পর অখিলেশ যাদব টুইটারে লেখেন, ‘জনতা প্রমাণ করে দিল অর্থের ক্ষমতার থেকে তাদের নির্ণয় বড়। যারা মনে করেছিল টাকা দিয়ে সবাইকে কিনবে, তারা শিক্ষা পেয়ে গিয়েছে। এখনও এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা রাজনীতিকে ব্যবসা মনে করেন না। কেন্দ্র সরকারকে নীতিগত ক্ষেত্রে ইস্তফা দেওয়া উচিত।’
[ বিনা যুদ্ধেই জমি ছাড়লেন ইয়েদি, জয়ের উচ্ছ্বাস জোট শিবিরে ]
গতকাল ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফার পর জয়ের হাওয়া বইছে কংগ্রেস ও জেডিএস শিবিরে। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা প্রমোদ তিওয়ারি ও তাঁর মেয়ে আরাধনা মিশ্র দলীয় কর্মীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন। তিওয়ারি বলেন, “এটি গণতন্ত্রের জয়।” কর্ণাটকে দু’দিনের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফার পর জনতা দলের এইচডি কুমারস্বামী মসনদে বসছেন। তিনি দুটি কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। কংগ্রেসের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে তার প্রতি। নতুন এই জোট সরকারের হাতে রয়েছে ১১৭ জন বিধায়ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.