সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দির চাইতে কোনও অংশে কম গুরুত্বপূর্ণ নয় আঞ্চলিক ভাষা। নতুন শিক্ষানীতিতে (NEP) সব আঞ্চলিক ভাষাকেই জাতীয় ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। শনিবার এমনটাই বলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। শুধু তাই নয়, সব স্থানীয় ভাষাকেই সমান মর্যাদা ও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিন মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে ‘নর্থইস্ট হিল ইউনিভার্সিটি’র (NEHU) ২৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান উপলক্ষে ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সেখানে আঞ্চলিক ভাষার মর্যাদা নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “হিন্দিই হোক বা ইংরাজি, কোনও ভাষার তুলনায় দেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলি কোনও অর্থেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটাই নতুন শিক্ষানীতির বৈশিষ্ট্য।” তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে নতুন শিক্ষানীতির অন্তর্গত সমস্ত আঞ্চলিক ভাষাই জাতীয় ভাষা। তাই গারো, খাসি, জয়ন্তীয়া (মেঘালয়ের স্থানীয় ভাষা) জাতীয় ভাষা।”
উল্লেখ্য, হিন্দি বনাম আঞ্চলিক ভাষা বিতর্কে সরগরম দেশ। রাজনেতা থেকে অভিনেতা সকলেই কোনও না কোনও পক্ষ নিয়ে বিতর্কে ঘি ঢালার কাজ করেছেন। এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিজেপি কর্মীদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বার্তা দেন, ‘ভাষা নিয়ে সংঘাত তৈরির চেষ্টা চলছে। নাগরিকদের সতর্ক করুন।” তারপরই শিলং প্রধানের মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে হিন্দির চল থাকলেও স্থানীয় ভাষার প্রাচুর্য স্তম্ভিত করার মতো। তাই নতুন শিক্ষানীতিতে ‘হিন্দি চাপিয়ে’ দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নতুন করে দেশের প্রধান ভাষা হিসেবে হিন্দির (Hindi) পক্ষে সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। যার বিরোধিতায় আসরে নেমেছিলেন দক্ষিণের কিংবদন্তি সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান। বিতর্ক উসকে দেন ‘মক্ষি’ খ্যাত কন্নড় অভিনেতা কিচ্চা সুদীপ। বলেন, হিন্দি আর রাষ্ট্রভাষা নয়। তার পালটা দেন বলি তারকা অজয় দেবগন। তারপরই সেই বিতর্ক আরও উসকে সুদীপকে সমর্থন করে এগিয়ে আসেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.