সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি দপ্তরে ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া আটকাতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সমস্যা হল পুরনো পন্থা আটকালে নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করে ফেলে অন্যায়কারীরা। তার হাতে গরম উদাহরণ এলাহাবাদ হাই কোর্টের (Allahabad High Court) সাম্প্রতিক ঘটনা। সম্প্রতি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে হাই কোর্টের এক জমাদারকে (Jamadar) সাসপেন্ড করেছে আদালত। তবে তার চেয়ে বেশি চর্চায় ওই জমাদারের ঘুষ নেওয়ার অনন্য পদ্ধতি। নগদ টাকা ছুঁয়ে দেখেন না তিনি। বরং কোমরে গুঁজে রাখা কিউআর কোড (QR CODE) ব্যবহার করে উপরি হাতাতেন। অভিনব পদ্ধতি অবলম্বনের কি কোনও কারণ রয়েছে?
আসলে নগদ নিলে ধরা পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে। অতএব, অভিযুক্ত জমাদার সকলকে বলে দিয়েছিলেন, একমাত্র কিউআর কোড ব্যবহার করেই তাঁকে টাকা দিতে হবে। ‘মক্কেলদের’ একথা পইপই করে বলা ছিল। সেই মতো এক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেক অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর হলে দাবি অনুযায়ী সুবিধে পাইয়ে দিতেন তিনি। কিন্তু এবার ঝামেলায় পড়ে গিয়েছেন অভিযুক্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) জমাদারের ছবি ভাইরাল (Viral) হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে এলাহাবাদ হাই কোর্টের ওই জমাদারকে। তাঁর কোমরে পেটিএম কিউআর কোড গোঁজা। সেই কোড স্ক্যান করছেন এক জন আইনজীবী।
এই ছবি ভাইরাল হতেই অস্বস্তিতে পড়ে আদালত। বিচারপতি অজিত কুমার গোটা ঘটনা জানিয়ে চিঠি লেখেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচাকপতি রাজেশ বিন্দলকে। এর পরেই অভিযুক্ত জমাদারকে সাসপেন্ড করা হয়। ২৯ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে অভিযুক্ত জমাদারকে সাসপেন্ড করার কথা জানান হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আশিস গর্গ।
উল্লেখ্য, মাঝেমাঝেই ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়ার ঘটনা সামনে আসে। হইচই পড়ে যায় সংবাদ মাধ্যমে।নিন্দায় সরব হন নেটিজেনরা। তারপর সব থিতিয়ে যায়। মাঝখান থেকে মুখ পোড়ে সরকারের। যদিও এর সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক নেই। ব্যক্তির অন্যায় আচরণের দায় সরকার কেন নেবে!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.