সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন বাড়লেও ছাড় দেওয়া হোক কিছু ক্ষেত্রে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পরামর্শ দিলেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁদের যুক্তি, আংশিকভাবে শিল্প ও কলকারখানায় কাজ শুরু না করলে অর্থনীতির অবস্থা আরও শোচনীয় হতে পারে। তাই, রাস্তা তৈরি, এবং শিল্প কারখানার ক্ষেত্রে আংশিক ছাড় দেওয়া হোক।
লকডাউন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, কীভাবে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা যায় সে বিষয়ে মন্ত্রীদের কাছে পরামর্শ চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে কয়েকজন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি লিখেছেন। সুত্রের খবর মন্ত্রীরা চাইছেন, যে সমস্ত সংস্থা সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে এবং সেই ধরনের পরিকাঠামো দেখাতে পারবে, সেই সব সংস্থাকে অল্প শ্রমিক নিয়ে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হোক। তবে অবশ্যই করোনা রুখতে সরকার যে সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছে, সেগুলি অবলম্বন করতে হবে। কারখানায় স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। কারখানার কাছে আইসোলেশন ওয়ার্ড থাকতে হবে। কারখানায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থাও থাকতে হবে। শিল্প কারখানাগুলি আংশিক খোলার অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি রাস্তা তৈরির কাজে আংশিক ছাড়পত্র দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রীরা। সেই সঙ্গে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কারখানাগুলিও খোলার অনুমতি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। মন্ত্রীদের ধারণা, এতে একদিকে যেমন অর্থনীতির উপর বোঝা কমবে, অন্যদিকে তেমনি পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা অনেকটা কমবে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে দেশের ৫টি রাজ্য। কেন্দ্রীয় স্তরেও তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে বলে সুত্রের খবর। যা শোনা যাচ্ছে তাতে এমাসের শেষ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে লকডাউন। যা গরিব খেটে খাওয়া মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ভিনরাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরাও দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে যদি লকডাউনের ক্ষেত্রে সামান্য ছাড় না দেওয়া হয় তাহলে অনেক মানুষেরই প্রাণ সংশয় হবে। সে কথা ভেবেই হয়তো প্রধানমন্ত্রীকে এমন পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। কিন্তু মুশকিল হল, সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি আদৌ মানা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.