সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড পরিস্থিতিতে জিএসটি কম আদায় হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রী. অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের মন্তব্য ছিল, এটা ‘ঈশ্বরের মার’ (Act of God)। রবিবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে তাঁর এই মন্তব্যের পালটা দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি পালটা বললেন, ”ঈশ্বরের মার নয়, এটা প্রতারকের মার।” পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে তিনি জিএসটি ঘাটতি নিয়ে রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় পরামর্শেরও তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের স্বার্থ নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করাচ্ছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঋণের পরামর্শ।
বৃহস্পতিবার জিএসটি কাউন্সিলের ভারচুয়াল বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Niramala Sitharaman) হিসেব দিয়েছিলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে গত কয়েকমাসে জিএসটি আদায় কম হয়েছে। ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেছিলেন পরিস্থিতি ‘ঈশ্বরের মার’। জিএসটির বকেয়া না মিটিয়ে তিনি রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ওই টাকা ধার বাবদ নিতে পারে। এতেই প্রবল আপত্তি তুলেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। তাঁর মতে, এই পরামর্শ দিয়ে আসলে রাজ্যগুলির আর্থিক পরিকাঠামোকে দুর্বল করে কেন্দ্রের উপর অধিক নির্ভরশীল করার চেষ্টা চলছে, যা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী।
এরপরই অমিত মিত্র (Amit Mitra) নোটবাতিলের প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁর মতে, নোটবাতিলের কয়েক মাসের মধ্যেই তড়িঘড়ি দেশজুড়ে পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি লাগু করায় প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষত ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী থেকে মধ্যবিত্ত মানুষজন ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কমেছে জিডিপি। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর মত, ঈশ্বরের অভিশাপের আগেই দেশের আর্থিক ক্ষতির নেপথ্যে প্রতারণার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। যার জন্য আজ এই পরিস্থিতি বলে মনে করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। পাশাপাশি এদিনের ভারচুয়াল বৈঠকে তিনি এও স্পষ্ট করে দেন, ঋণ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব রাজ্য কিছুতেই মানবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.