সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর পাঁচজনের থেকে সম্পূর্ণ অন্যভাবে শুরু হয় তাঁর সকাল। যখনই ফোন আসে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে পৌঁছে যান অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে। মৃতদেহ পৌঁছে দেন শ্মশানে। এর জন্য তিনি কোনও পারিশ্রমিক চান না। যে যতটা দিতে পারেন তাই নিয়ে নেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে তাঁর এমন কাজ। ফলে মানুষের পাশে থাকতে গিয়ে রমজান মাসেও আর রোজা রাখা সম্ভব হচ্ছে না উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh)ফয়জুলের (Faizul)। রোজা রাখতে না পরলেও সর্বশক্তিমান তাঁর অবস্থা বুঝবেন বলে দাবি তাঁর।
প্রয়াগরাজের আটারসুইয়া এলাকার বাসিন্দা ফয়জুল দীর্ঘদিন ধরে অ্যাম্বুল্যান্স চালান। আর দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি এভাবে মানুষের পাশে থাকেন। করোনা কালে তিনি গরির রোগীর দেহ বিনামূল্যে বহন করছেন। আরও বেশি করে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। ফয়জুল বলেন, “এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। যখন ফোন পাচ্ছি আমি বেরিয়ে যাচ্ছি। এই অবস্থায় রোজা রাখা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু আমি জানি আল্লা বুঝবেন।”
শুধু তাই নয়, মানুষের পাশে থাকার জন্য তিনি বিয়েও করেননি। ফয়জুলের বক্তব্য, ‘যদি বিয়ে করেন তবে আরও অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে যাবেন। মানুষকে সাহায্য করার কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই তিনি বিয়ে করেননি।’ প্রথমে একটি গাড়িতে করে তিনি মৃতদেহ বহন করতেন। পরে ঋণ নিয়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্স কিনে ফেলেন।
সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ফয়জুলের এই কাহিনি ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনরা কুর্নিশ করছেন তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.