ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম দুই সশস্ত্র মাওবাদী। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম জেলার পেডাবায়ালু এলাকায়। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন একজন সিআরপিএফ জওয়ানও। বর্তমানে তিনি বিশাখাপত্তনম শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাত থেকেই পেডাবায়ালু এলাকায় যৌথ তল্লাশি অভিযানে নামে সিআরপিএফের ১৯৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ান ও অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। রাত দেড়টা নাগাদ শুরু হয় এনকাউন্টার। কয়েক ঘন্টা ধরে চলা লড়াইয়ের পর খতম হয় দুই মাওবাদী। ঘটনাস্থল থেকে তাদের মৃতদেহের পাশাপাশি দুটি বন্দুকও উদ্ধার হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে বাকি মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এমনিতেই বিশাখাপত্তনম ও আরাকু ভ্যালি-সহ অন্ধ্রপ্রদেশের এই এলাকাগুলিতে মাওবাদীদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর গ্রাম সফরে গিয়ে মাওবাদীদের হাতে খুন হতে হয়েছিল আরাকুর টিডিপি বিধায়ক কিদারি সর্বেশ্বর রাও এবং প্রাক্তন বিধায়ক শিবারি সোমাকে। আরাকুর ডুমরিগুডার লিভিরিপুট্টা গ্রামে গিয়েছিলেন রাও এবং সোমা। রাস্তায় মাওবাদীরা বিধায়কদের গাড়ি আটকায়। মাওবাদীদের সঙ্গে ছিলেন গ্রামবাসীরাও। গাড়ি আটকানোর পর বিধায়ক এবং প্রাক্তন বিধায়কের দেহরক্ষীরা গাড়ি থেকে নেমে আসেন। এরপর তাঁদের হাতে থাকা একে-৪৭ রাইফেল কেড়ে নিয়েই মাওবাদীরা দু’জনকে খুন করে।
[আদর্শ আচরণ বিধি চালুর পরেও চেন্নাইয়ের কলেজে সভা, বিতর্কে রাহুল]
পুলিশের দাবি, প্রায় ৫০-৬০ জন মাওবাদীর দল হামলা চালিয়েছিল, তাদের মধ্যে মহিলা ক্যাডারও ছিল। গুলি চালানোর পরে গ্রামবাসীদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পালিয়ে যায় মাওবাদীদের দল। এই হামলার পিছনে মাওবাদী অন্ধ্র-ওডিশা বর্ডার কমিটির সেক্রেটারি রামকৃষ্ণ আছে বলেও সেসময় অভিযোগ ওঠে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.