ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবের (Punjab) ভাটিন্ডার (Bathinda) সেনা ঘাঁটিতে গুলি চালানোর ঘটনায় রহস্য বাড়ছে। প্রশ্ন উঠছে সেনা জওয়ানদের নিরাপত্তা নিয়ে। অন্যতম ধোয়াশা, কীভাবে সেনা ঘাঁটিতে বহিরাগত প্রবেশ করল? তারা ৪ জওয়ানকে হত্যা করে পালিয়েই বা গেল কী করে? এর মধ্যেই জানা গিয়েছে, ভাটিন্ডার সেনা ঘাঁটিতে আরও এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। তিনি গুলিতে আহত হন। পরে সেনা হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। যদিও সেনার দাবি, এই ঘটনাটির সঙ্গে গতকালের গুলিকাণ্ডের সম্পর্ক নেই।
বুধবার সকাল সাড়ে চারটে নাগাদ গুলি চলে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডা সেনা ঘাঁটিতে। যার জেরে গুলিবিদ্ধ মৃত্যু হয় ৪ জওয়ানের। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল কোনও সেনা জওয়ান গুলি চালিয়েছেন। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণ পোশাক পরে বহিরাগত আততায়ীরা সেনা ছাউনিতে ঢুকেছিলেন। তারাই হত্যালীলা চালান। দ্রুত পালিয়ে যান সেনা ঘাঁটি লাগোয়া জঙ্গলের দিকে। এমন ঘটনায় দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়েছে। দেশের জওয়ানদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় অস্বস্তিতে সেনা এবং স্থানীয় প্রশাসন।
গুলিকাণ্ডের পর যে এফআইআর দায়ের হয়েছে তা নিয়েও ব্যাপক ধন্ধ তৈরি হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, একটি ইনসাস রাইফেল থেকে গুলি চালানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে, সেটি সপ্তাহ দুয়েক আগেই ল্যান্স নায়েক মুপদি হরিশকে দেওয়া হয়েছিল। ৯ এপ্রিল সেটি খোয়া গিয়েছিল। একইসঙ্গে খোয়া গিয়েছিল ২৮ রাউন্ড গুলি। আরও প্রশ্ন, কাছে পুলিশ স্টেশন, তবু ১০ ঘণ্টা পর পুলিশে খবর দেওয়া হল কেন?
হাজারো ধন্দের মধ্যেই বুধবার ভাটিন্ডা সেনা ঘাঁটিতে আরও এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে গুলিবিদ্ধ হয়ে। সেনার দাবি, এটি নেহাতই দুর্ঘটনা। গতকালের ঘটনার সঙ্গে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। এক বিবৃতিতে সেনার তরফে জানানো হয়েছে, একই সেনা ঘাঁটির হলেও ভিন্ন ইউনিটের সদস্য ২০ বছর বয়সি জওয়ান। ১২ এপ্রিল বিকেল সাড় চারটে নাগাদ ভুলবশত নিজেরই রাইফেল থেকে গুলি ছিটকে গুরুতর আহত হন তিনি। দ্রুত সেনা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.