সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। লখনউ থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। একে একে ফিরোজাবাদ, সম্ভল, কানপুর, প্রয়াগরাজ, বিজনৌর, মীরাট, হাপুরের পাশাপাশি খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের খাস তালুক গোরক্ষপুরেও জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে তিনদিনে ১৫ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, অধিকাংশই পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছেন। বেশ কয়েকজন হিংসার শিকার হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে লখনউয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
জানা গিয়েছে, আগামিকাল, রবিবার প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে তৃণমূলের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল যাচ্ছে লখনউয়ে। দলে রয়েছেন সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, নাদিমুল হক এবং আবিররঞ্জন বিশ্বাস। উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইনের (CAA) বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রণক্ষেত্র হয় লখনউ। রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল, স্লোগানে মুখর হয় বাদশাহী শহর। জ্বলে গাড়ি, বাস। পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছু এলাকায় পুলিশ-ক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। প্রতিবাদীদের বাগে আনতে পুলিশও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। লাঠি চালায় বলেও খবর। জানা যায়, সেদিনের ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়।
তৃণমূলের প্রতিনিধি দল রবিবার সেখানে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে। এছাড়াও যাঁরা সেদিনের ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁদের সঙ্গেও দেখা করবেন দীনেশ ত্রিবেদীরা। তবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে লখনউ শহরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে কি না সে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সন্দেহ দানা বাঁধছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেই কারণে হয়তো তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আটকাতে পারে পুলিশ, এমনটাই সূত্রের খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.