সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরই শোনা যাচ্ছিল, মেয়ে সুকন্যার মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করতে চাইছে ইডি। তবে সময় ও পরিস্থিতির কারণে মোটের উপর নিশ্চিত যে বাবা-মেয়ের মুখোমুখি জেরা হচ্ছে না। তবে কেষ্টর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির সঙ্গে একসঙ্গে জেরা করা হতে পারে সুকন্যাকে, এমনটাই খবর। ইতিমধ্যেই মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে ইডি।
বিষয়টা ঠিক কী? বৃহস্পতিবার সূ্ত্র মারফত জানা গিয়েছিল, ২০ মার্চের মধ্যে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুকন্যা মণ্ডলকে। কিন্তু শুক্রবার ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সুকন্যাকে এখনও নতুন করে কোনও নোটিস পাঠানো হয়নি। তবে সুকন্যার জন্য চিঠি তৈরি করা হচ্ছে। হিসেব বলছে, নোটিস পাঠানোর পর সুকন্যাকে হাজিরার জন্য কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হবে। এদিকে অনুব্রত ইডি হেফাজত শেষের পথে। আগামী ২১ তারিখ ফের তাঁকে আদালতে তোলা হবে। তবে এবার তাঁকে আর নিজেদের হেফাজতে নিতে পারবে না ইডি। অনুব্রতকে পাঠানো হবে তিহাড় জেলে। ফলে সুকন্যা ও অনুব্রতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা সম্ভব হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনুব্রত থেকে মণীশ ও সুকন্যাকে মুখোমুখি জেরায় বেশি আগ্রহী ইডি। সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যাও নেই। এদের মুখোমুখি বসালে গরু পাচার মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আগেই ইডি আধিকারিকদের মনে সন্দেহ তৈরি করেছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে থাকা ১৬ কোটি টাকার ফিক্সট ডিপোজিট। কারণ, একজন স্কুল শিক্ষিকার পক্ষে এত সম্পত্তির মালিক হওয়া অসম্ভব। মণীশ কোঠারিকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, গরু পাচারের কালো টাকাতেই সুকন্যার নামে করা হয়েছে ফিক্সড ডিপোজিট।
শোনা যাচ্ছে, বর্তমানে ইডির নজরে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ১৫০ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সরকারি আধিকারিকরাও। ফলে অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ মহলে চাপা আতঙ্ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.