সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি বেসরকারি কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া ছিলেন দু’জনেই। বাড়ির অমতে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু, বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই রেললাইন থেকে উদ্ধার হল নবদম্পতির দেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বাট্টুলা সন্দীপ ও তাঁর স্ত্রী ভোগিরেড্ডি মৌনিকা। তবে বিয়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কেন আত্মহত্যা করলেন তাঁরা, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে শুরু হয়েছে তদন্ত।
[বিশ্বকর্মার কাহিনি পড়ানো হোক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের, নিদান মন্ত্রীর]
জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলার চিরালা শহরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন সন্দীপ। একই কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেন তাঁর স্ত্রী ভোগিরেড্ডিও। দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। কলেজে পড়তে পড়তেই দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সন্দীপ ও ভোগিরেড্ডির বন্ধুরা জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি দুই পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার বাড়ির অমতে বিজয়ওয়াড়ায় বিয়ে করেন সন্দীপ ও ভোগিরেড্ডি। কিন্তু, বিয়ের পরই বাড়ির লোককে মেসেজ পাঠিয়ে তাঁরা জানান, আত্মহত্যা করতে চলেছেন। বুধবার প্রকাশম জেলার ভেটাপালেম স্টেশনের কাছে রেললাইনে ওই দম্পতির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
[টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুম্বই, দুর্ঘটনার কবলে পড়ল বিমান]
বাড়ির লোক সম্পর্ক মেনে না নিলে অনেকসময়ই আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। কিন্তু, বিয়ে করার পরও কেন আত্মহত্যা? রীতিমতো ধন্দে পুলিশ। তবে ওই দম্পতির পরিচিতদের একাংশর মতে, বাড়ির অমতে বাট্টুলা সন্দীপ ও ভোগিরেড্ডি মৌনিকা বিয়ে করেছিলেন ঠিকই। তবে বিয়ের পর পরিবারের লোকদের মুখোমুখি হওয়ার সাহস ছিল না তাঁদের। সম্ভবত সে কারণেই আত্মহত্যা করেছেন সন্দীপ ও মৌনিকা।
[জানেন, কেন কাশ্মীরে লস্করের কমান্ডার হতে চাইছে না কেউ?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.