ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের আনা ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি আর্জি জমা পড়েছে। ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডির মতো রাজনৈতিক দলগুলির তরফে বিতর্কিত এই আইনের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্রও ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে সংবিধান বিরোধী বলে দেগে দিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে শুধু এই আইনের বিরুদ্ধে নয়, এবার বিতর্কিত আইনের পক্ষেও আর্জি জমা পড়ল শীর্ষ আদালতে। অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সদস্য সতীশ কুমার আগরওয়াল ওই আর্জি জানিয়েছেন।
অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার ওই সদস্যের দাবি, ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারাটি বর্বরোচিত। ওই নিয়মের জোরেই ওয়াকফ বোর্ড যে কোনও ব্যক্তির সম্পত্তি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার অধিয়ার পায়। অন্যের জমি দখল করে নেয়। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার ওই বর্বরোচিত আইন প্রত্যাহার করেছে। সেই আইন যেন আর না ফেরানো হয়। সতীশ কুমার আগরওয়াল বলছেন, কোনও একটি নির্দিষ্ট ধর্মের নিয়ম মেনে দেশের আইন প্রণয়ন হওয়া উচিত নয়।
গত সপ্তাহেই সংসদে পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে তা এখন আইন। কিন্তু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈষম্যের অভিযোগে এই বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। আগামী ১৬ এপ্রিল মামলার শুনানি। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম দরবারে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্র সরকারের মতামত না শুনেই যেন কোনও রায় না দেয় শীর্ষ আদালত, এই আপিল করা হয়েছে।
এই মুহূর্তে ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে দেশজুড়েই নানা প্রশ্ন উঠছে। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনগুলোর পাশাপাশি সরব তৃণমূল, কংগ্রেসের মতো বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, এই আইনের ফলে বৈষম্য বাড়বে। বৈষম্যের শিকার হবেন সংখ্যালঘুরা। পালটা কেন্দ্রের যুক্তি, কারও ধর্মাচারণে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। কারও জমি কেড়ে নেওয়া হবে না। রাজনৈতিক স্বার্থে বিরোধীরা অপপ্রচার করছে। ওয়াকফ আইনে মুসলিমরা উপকৃতই হবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.