সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণপিটুনির হাত থেকে তিন সাধুকে রক্ষা করল সেনা। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের মাহুর শহরে। সেনা সূত্রে খবর, সেখানে উত্তেজিত জনতা ওই তিনজনকে বেধড়ক মারছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রামের শিশুদের অপহরণ করেন ওই গেরুয়াধারীরা। এছাড়া আরও তিনজনকে হাফলংয়ের দিমা হাসাওয়ে ২৯ কিলোমিটার দূর থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এক্ষেত্রেও স্থানীয়দের অভিযোগ একই। এই তিনজনের বিরুদ্ধেও শিশু অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
[ খ্রিস্টানদের নিয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য, বিতর্কে বিজেপি সাংসদ ]
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাহুরে যে পুরোহিতদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁরা উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বয়স ২৬ থেকে ৩১-এর মধ্যে। মধ্য অসমের মাহুল গ্রামে তাঁদের গাড়িটি টার্গেট করা হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁদের গাড়িটি আটকায় ও তাঁদের গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে। ক্রমে ভিড় বাড়তে থাকে। কী ঘটছে দেখতে আসে স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে একজনকে বাঁচান জওয়ানরা। বাকিরা নিজেরাই পালিয়ে যায়। প্রায় ৫০০ মিটার দূরে গিয়ে সেনা তাদের উদ্ধার করে। ওই তিন পুরোহিতকে সেনা শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এদিকে, হাফলংয়েরও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির উপর হামলা চালায়। তাদেরও অপহরণকারী ভেবেই উত্তমমধ্যম দেয় স্থানীয়রা।
[ আত্মহত্যা করতে চায়নি পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্যরা, বুরারির ঘটনায় নয়া মোড় ]
গতমাসে দেনগাঁওয়ের কারবি অ্যাংলংয়ের কাছে এমনই একটি ঘটনা ঘটে। কালাজাদুর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, এই সন্দেহে দু’জনকে পিটিয়ে মারে স্থানীয়রা। এলাকায় শিশু অপহরণ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়ছিল। সেই কারণেই ক্ষুব্ধ ছিলেন স্থানীয়রা।
গত দু’মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া গুজবের কারণে ২০ জনের মৃত্যু হয়। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের ধুলেতে পাঁচ জনকে পিটিয়ে মারা হয়। সেখানে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল শিশুদের হত্যা করেছে আততায়ীরা। শিশুদের দেহের অঙ্গ নেওয়ার উদ্দেশ্যেই তাদের অপহরণ করে মেরে ফেলা হয় বলে গুজব রটে। সিরিয়ায় মৃত শিশুদের ছবি ব্যবহার করে এই গুজব ছড়ানো হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.