সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ছড়াতে পারেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এমন আশঙ্কা প্রকাশ সতর্ক করেছিল বিশ্ব ব্যাংক (World Bank)। লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বিভিন্ন রাজ্য থেকে ঘরে ফিরেছেন। তাঁরা শরীরে মারণ জীবাণু বহন করতে পারেন বলে বিশ্ব ব্যাংকের বিশেষজ্ঞদের মত। ভারতের যে যে এলাকায় করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে সেই পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখে এমনই আশঙ্কা তাঁদের। এবার লকডাউনের জেরে দেশের ৪ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করল বিশ্ব ব্যাংক। দেশজুড়ে লকডাউনের ফলে ভারতের ৪ কোটি পরিযায়ী শ্রমিকের জীবন সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে বলে রিপোর্ট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরেও শ্রমিকদের জীবন পুরনো খাতে বইতে অনেক সময় চলে যাবে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
লকডাউন ঘোষণার কয়েকদিনের মধ্যে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ হাজার শ্রমিক শহর থেকে গ্রামে তাঁদের বাড়িতে ফিরতে পেরেছেন বলে ধারণা। বাকি বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক এখনও আটকা পড়ে রয়েছেন। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রভাব টের পাওয়া যাবে না বলে মত বিশেষজ্ঞদের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অর্থনীতিতে এর বিস্তর প্রভাব লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠবে। বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, লকডাউনের আগে ভিন দেশে কাজ করা যত মানুষ দেশে ফিরেছেন, তার তুলনায় দেশের মধ্যে শহর থেকে গ্রামে ফেরা মানুষের সংখ্যা প্রায় আড়াই গুণ বেশি।
লকডাউনে কাজ হারানো এবং সামাজিক দূরত্ববিধি পালন পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবনে চূড়ান্ত বিপর্যয় নিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। ভারত ছাড়াও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা একইভাবে প্রকট হয়ে উঠেছে। এই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও খাদ্যের জোগানের দিকে প্রশাসনের নজর দেওয়া জরুরি বলে পরামর্শ বিশ্ব ব্যাংকের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.