ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার পর থেকেই কাশ্মীর সীমান্তেও নজরদারি পরিমাণ বাড়িয়েছে ভারত। অন্যদিকে ‘বন্ধু’ চিনের উসকানিতে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলি ছোঁড়ার ফাঁকে মদতপুষ্ট জঙ্গিদের ক্রমাগত ভূস্বর্গে ঢোকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। সম্প্রতি এই বিষয়ে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI) লস্কর-ই-তইবা প্রধান হাফিজ সইদ ও হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিনকে ডেকে নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে এই খবর পাওয়ার পরেই তৎপর হয়ে উঠেছেন ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা। পাকিস্তানের যেকোনও অপকর্মের যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে হতে চলা আন্তর্জাতিক আর্থিক দুর্নীতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএটিএফ (FATF)’র বৈঠকে পাকিস্তানের পরিত্রাণ পাওয়ার কোনও উপায় নেই। কারণ, তারা কোনওভাবে এফএটিএফয়ের শর্তপূরণ করে জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ করতে পারবে না। তাই আর ওই বিষয়টি নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে ফের ভারতে নাশকতার ছক কষছে ইমরানের সরকার। আর তাই গত কয়েকদিনে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের শীর্ষ আধিকারিকরা একাধিকবার হাফিজ সইদ (Hafiz Saeed) ও সৈয়দ সালাউদ্দিন (Syed Salahuddin) -এর সঙ্গে বৈঠক করেছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকা জঙ্গি লঞ্চপ্যাডগুলি পরিদর্শন করেছে।
গত ৪ অক্টোবর কোটলি ও ৭ অক্টোবর নিকিয়াল এলাকায় হাফিজ ও সালাউদ্দিনের সঙ্গে হওয়া আইএসআইয়ের উচ্চপর্যায়ের মিটিংয়ে বেশ কতগুলি সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার তরফে জঙ্গিদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কাজের আগে তাদের ২০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। আর সফল হলে মিলবে আরও ৩০ লক্ষ। এর জেরে ভারত সীমান্তের ওপারে বিভিন্ন জঙ্গি লঞ্চপ্যাডে প্রায় ৩০০ জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। যারা ঠিক শীতের আগেই অনুপ্রবেশের চেষ্টা করবে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.