সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিপিই দুর্নীতির অভিযোগে তুঙ্গে সংঘাত। এবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এর আগে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন হিমন্তের স্ত্রী রিনিকি ভুঁইয়া।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, জুন ৩০ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার অসমের কামরূপ (গ্রামীণ) নগর দায়রা আদালতে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন হিমন্ত। এই বিষয়ে হিমন্তের আইনজীবী দেবজিত লোন শইকিয়া বলেন, “সমস্ত অভিযোগ (হিমন্তের বিরুদ্ধে) মিথ্যা। যে সংস্থাটি পিপিই কিট জোগান দিয়েছিল তারা কোনও টাকা নেয়নি। সেই সময় সরকারের তরফে সমস্ত পিপিই কিট জোগানদারদের থেকে মদত চাওয়া হয়েছিল। সেই হিসেবে দেড় হাজার পিপিই কিট জোগান দেওয়া হয়। এত জন্য এক পয়সাও নেওয়া হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “হিমন্ত বিশ্বশর্মা একটি মানহানি মামলা করেছেন (সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে)। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে দু’বছরের জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে। ২২ জুলাই অপরপক্ষকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।”
Assam Chief Minister Himanta Biswa Sarma has filed a criminal defamation case against Delhi Deputy Chief Minister Manish Sisodia before the CJM court, Kamrup (Rural) on June 30.
(file photos) pic.twitter.com/R7tj3iioHK
— ANI (@ANI) July 1, 2022
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন মণীশ অভিযোগ করেন, ”হিমন্ত বিশ্বশর্মা ওঁর স্ত্রীর সংস্থাকে পিপিই কিট জোগানের বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন। উনি পিপিই কিট পিছু ৯৯০ টাকা নিয়েছিলেন। যেখানে অন্যান্য সংস্থা ৬০০ টাকা করে নিচ্ছিল। এটা বড় অপরাধ। বিজেপির কি সাহস আছে নিজেদের নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার? নাকি ওরা আমাদের কথাকে উড়িয়ে দেবে?” তারপরই গুয়াহাটির আদালতে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন রিনিকি ভুঁইয়া। এই বিষয়ে রিনিকির আইনজীবী পদ্মাধর নায়েক জানিয়েছিলেন, “দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে আমার মক্কেলের কাছে থেকে ২০২০ সালের মার্চ মাসে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে পিপিই কিট কেনা হয়েছিল। এটা পুরো একটা মনগড়া কথা। এই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মামহানির মামলা করা হয়েছে।”
পিপিই বিতর্কে নিজের স্ত্রীর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)। তিনি পালটা টুইট করেছিলেন, ”যখন দেশ ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর অতিমারীর মুখোমুখি হয়েছিল, সেই সময়ে অসমে পিপিই কিট ছিলই না। আমার স্ত্রীই এগিয়ে আসেন। উনি সরকারকে দেড় হাজারেরও বেশি পিপিই কিট দান করেছিলেন মানুষের প্রাণ বাঁচাতে। উনি এজন্য একটি পয়সাও নেননি।” এইসঙ্গে মানহানির মামলা করারও হুমকি দিয়েছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.