ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তারা শিক্ষার্থী। দেশের ভবিষ্যৎ। আর সেই শিক্ষার্থীদেরই যৌন লালসার শিকার হল ১২ বছরের কিশোরী। দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দিতে গিয়ে সোজা শ্রীঘরে ঠাঁই হল সাত ছাত্রের।
ধর্ষণের খবর শিরোনামে উঠে আসতেই বারবার দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হয়েছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু ধর্ষণকে সমাজ থেকে উপড়ে ফেলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফের সেই প্রমাণ মিলল অসমে। অসমের বিশ্বনাথ জেলার চাকলা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার গ্রামের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবার অভিযুক্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার অভিযুক্ত সাতজনের মধ্যে এক নাবালক ওই কিশোরীকে লোভ দেখিয়ে, ভুল বুঝিয়ে জঙ্গলের মধ্যে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। ঠিক ছিল, পরীক্ষার পর সেই বাড়িতেই থাকবে বাকিরা। পরিকল্পনামাফিক সেখানেই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়। এদিকে, গোপুর থানায় মেয়ে নিরুদ্দেশ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর বাড়ির লোক। তদন্তে নেমে শনিবার জঙ্গলের ভিতর ওই বাড়ির কাছের একটি গাছ থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় প্রথমে এক স্থানীয় নাবালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ধর্ষণের কথা স্বীকার করে নাবালক। তার বয়ানের সূত্র ধরেই রবিবার বাকিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা। গোপুর থানা ঘেরাও করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি তোলেন তাঁরা। এমনকী ধৃতদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের উপরও চড়াও হওয়ারও চেষ্টা করেন এলাকার ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। বাড়ির মেয়েকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ পরিবার। এই ঘটনা ফের মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.