ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়ের বিয়ে মানেই বাবা-মায়ের মাথায় একরাশ চিন্তা। কারণ সোনার দাম যেভাবে হু হু করে বাড়ছে, তাতে মেয়েকে সোনায় সাজাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বাবা-মায়েরা। আর গ্রামাঞ্চলে তো মেয়েদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়তে থাকে পাত্রীকে সোনা দেওয়ার ‘নিয়ম’। তাই বয়স কম থাকতেই মেয়েকে পাত্রস্থ করতে উদ্যোগী হন বাবা-মা। কখনও কখনও তো নাবালিকা মেয়েদেরও বসিয়ে দেওয়া হয় বিয়ে পিঁড়িতে। আর এই নাবালিকা বিয়ে রুখতেই হাল ধরল প্রশাসন।
সম্প্রতি অসম সরকার ঘোষণা করেছে, অরুন্ধতী স্বর্ণ প্রকল্পের আওতায় এবার থেকে নববধূকে দেওয়া হবে সোনা। এর মূল্যও খুব একটা কম নয়। অসম সরকার জানিয়েছে, প্রত্যেককে ১০ গ্রাম করে সোনা দেওয়া হবে যার অর্থমূল্য ৩০ হাজার টাকা। তবে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিলেই যে সোনা পাওয়া যাবে, এমন নয়। এর জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। প্রথমত, মেয়েদের বয়স ১৮ বছর হতে হবে। পাত্রের বয়স অবশ্যই হতে হবে ২১ বছর। দু’জনের মধ্যে আইনি বিয়েও সম্পন্ন হয়ে যাওয়া বাঞ্ছনীয়। তা না হলে বিয়ে আইনি বৈধতা পাবে না। আর আইনি বৈধতা না পেলে মিলবে না সোনা। তবে সোনা দেওয়ার আগে সরকার পাত্রীর পরিবারের আয় খতিয়ে দেখবে। উপরের শর্তগুলি মানার পরও যদি দেখা যায় পাত্রীর পারিবারিক আয় বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার বেশি, তাহলে মিলবে না সোনা।
এই শর্তগুলি প্রযোজ্য হলে নববধূর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে ১০ গ্রাম সোনার দাম, অর্থাৎ প্রায় ৩০ হাজার টাকা। তবে কেউ যদি দ্বিতীয় বিয়ে করতে চান, তাহলে কিন্তু এই সুবিধা তিনি পাবেন না। ১৯৫৪ সালে স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতাভুক্ত হলেই মিলবে সোনার মূল্য। এর জন্য রাজ্য সরকারের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে খবর। কিন্তু এই খরচের দিকে তাকিয়ে পিছিয়ে আসতে নারাজ অসম প্রশাসন। কারণ এর ফলে বাল্যবিবাহ রোধ করা যাবে বলে সরকারের বিশ্বাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.