সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহু প্রতীক্ষিত নাগরিকপঞ্জীর প্রথম খসড়া প্রকাশিত হল অসমে। রবিবার রাতে প্রকাশিত ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন্সের এই তালিকায় প্রায় ৩.২৯ কোটি রাজ্যবাসীর মধ্যে জায়গা পেয়েছেন মাত্র ১.৯ কোটি বাসিন্দা। অর্থাৎ তাঁরা বৈধ বলে চিহ্নিত হয়েছেন। চাপা উত্তেজনা আর উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষায় রাজ্যের বাকি মানুষ।
[ পুলিশের ছেলের হাতেই শহিদ পাঁচ সেনা, পুলওয়ামায় নয়া ত্রাস ]
অনুপ্রবেশ সমস্যা রুখতেই এই তালিকা প্রকাশের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। বাংলাদেশ সীমান্ত পেয়ে বহু মানুষ অসমে পা রাখেন। পরে তাঁরা পাকাপাকিভাবে ওই রাজ্যেরই বাসিন্দা হয়ে যান। এই অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে অসমের বাসিন্দাদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বহুদিন আগেই। এতদিন পরে তা প্রকাশ্যে এল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত। কিন্তু ১৯৫১ সালের পর থেকে এই প্রথমবার তালিকা তৈরি করে তা প্রকাশ করা হল। যেখানে প্রাথমিকভাবে জায়গা পেয়েছেন ১.৯ কোটি। অর্থাৎ ৩.২৯ কোটি বাসিন্দাদের মধ্যে এঁরাই বৈধ নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। ফলে চাপা উদ্বেগ গোটা রাজ্যে। যাঁরা প্রাথমিক তালিকায় জায়গা পাননি তাঁদের মধ্যেও বহু বৈধ নাগরিক আছেন। ফলে ক্ষোভের পরিবেশ তৈরি হয়েছে রাজ্য জুড়ে। অশান্তি আঁচ করে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে গোটা অসমে।
[ ফের বেঙ্গালুরু, বর্ষবরণের নামে অভব্যতা-শ্লীলতাহানি ]
তবে যাঁরা এই তালিকায় জায়গা পাননি তাঁদের ভয় না পাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, এটি প্রাথমিক খসড়ামাত্র। আরও প্রায় ১.৩৯ নাগরিকের আবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুতরাং এখনই এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, যতদিন না চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ হচ্ছে ততদিন তাঁরা বৈধ হয়েও বৈধ নাগরিকের মর্যাদা পাবেন না। সেক্ষেত্রে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হতে পারে। যদি এ কাজে বছরের পর বছর সময় লেগে যায় তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। সে উদ্বেগ কাটিয়ে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হবে। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাধানেই চলবে এই চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া। তবে কর্তৃপক্ষের এই আশ্বাসেও ভয় কাটছে না রাজ্যবাসীর। চাপা উত্তেজনার পরিবেশ গোটা রাজ্য জুড়েই।
[ রেলে ব্যাপক কেলেঙ্কারি, সিবিআইয়ের নজরে তৎকাল বুকিং সফটওয়্যার ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.