সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের আর্থিক উন্নয়নে মুখ্য ভূমিকা রয়েছে বিমান শিল্পের। আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশে ২২০টি নতুন বিমানবন্দর (Airport) তৈরি করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হবে যাত্রী সংখ্যা। বুধবার লোকসভায় একথা বললেন অসামরিক বিমান পরিবহণ দপ্তরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)।
এদিন লোকসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ওমিক্রনের আতঙ্ক কাটিয়ে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা। গত সাতদিনে রোজ গড়ে ৩.২৮ লাখ যাত্রী যাতায়াত করছেন বিমানে। ২০২৩-২৪ সালে বিমান পরিবহণে যাত্রী সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২৪ সালে যাত্রী সংখ্যা ৪০ কোটি করার চেষ্টা করা হচ্ছে মন্ত্রকের তরফে।
বুধবার লোকসভায় জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আরও জানান, নতুন ৩৩টি অভ্যন্তরীন কার্গো টার্মিনাল তৈরি করা হবে। পাইলটদের জন্য ১৫টি নতুন উড়ান প্রশিক্ষণ স্কুল স্থাপন করা হচ্ছে। এইসঙ্গে আরও চাকরি তৈরিতে নজর দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৩টি নতুন গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট গড়তে চাইছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। পাশাপাশি ভবিষ্যতে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের মতো পার্বত্য এলাকায় হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হবে বলেও জানান তিনি।
এদিন মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশে ৭৪টি বিমানবন্দর ছিল। গত সাত বছরে ৬৬টি নতুন বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে। ফলে বর্তমানে গোটা দেশে বিমানবন্দরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪০টি। এরপরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে বিমানবন্দরের সংখ্যা ২২০টি করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। সেই মতো কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সিন্ধিয়া বলেন, যেখানে বিশ্বের অন্য দেশগুলিতে মাত্র ৫ শতাংশ মহিলা পাইলট রয়েছে। সেখানে ভারতে ১৫ শতাংশেরও বেশি পাইলট মহিলা। এটা নারীর ক্ষমতায়নের উদাহরণ।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia-Ukraine War) ইউক্রেনে আটকে পড়েছিলেন অসংখ্য ভারতীয় পড়ুয়া। ‘অপারেশন গঙ্গা’র মাধ্যমে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এদিন সংসদে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানান, ‘অপারেশন গঙ্গা’ সফল করতে ৫টি দেশে ৯৫ বিমান পাঠিয়েছিল ভারত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.