সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেঘালয় সীমান্ত থেকে উদ্ধার হয়েছে বাংলাদেশের ছাত্রলিগ নেতা ইশহাক আলি খান পান্নার পচাগলা দেহ। উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাংলাদেশের পাসপোর্টও। তিনি আওয়ামি লিগের(Awami League) ছাত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কয়েকদিন ধরেই খোঁজ মিলছিল না তাঁর। ইশহাক আলির মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য।
গত ৫ আগস্ট ব্যাপক গণ আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়ে পালান আওয়ামি লিগ ও ছাত্রলিগের বহু নেতা-কর্মী। অত্যাচারের শিকার হন অনেকে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, বর্তমান পরিস্থিতির জেরে ইশহাক আলিও ভারতে পালিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মেঘালয়ের দোনা ভোইতে এলাকার একটি সুপারি বাগান থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহের পাশ থেকেই মেলে পাসপোর্ট। এনিয়ে পুলিশ সুপার গিরি প্রসাদ জানান, ইশহাক আলির দেহ খলিহরিয়াত সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য ওই হাসপাতালের মর্গেই রাখা রয়েছে দেহ।
কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হয়েছে এই নেতার? প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সীমান্ত পেরনোর সময় হৃদরোগে আক্রন্ত হয়েছিলেন ইশহাক আলি। তবে এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে কয়েকটি সূত্র বলছে খুন হয়ে থাকতে পারেন তিনি। পারিবারিক সূত্রের খবর, হাসিনা সরকারের পতনের পর ইশহাক ঢাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন। বেশ কয়েকদিন গা ঢাকা দেওয়ার পর শনিবার ভোরে কয়েক জন সঙ্গী-সহ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল এলাকা দিয়ে মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি এলাকায় যান। ভোরে ওই এলাকার একটি পাহাড়ে ওঠেন। পাহাড় পার হয়ে তাঁদের গন্তব্যে যাওয়ার কথা ছিল।
বাংলাদেশের পিরোজপুরের কাউখালিতে থাকতেন ইশহাক আলি। তাঁর আত্মীয় জসিমউদ্দিন খান সংবাদমাধ্যমে জানান, “ঘটনার পর থেকে আমরা ইশহাকের সঙ্গীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তাঁরা আমাদের জানিয়েছেন, গত সোমবার মেঘালয়ের পুলিশ দেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। আমরা দ্রুত ভারত থেকে দেহ আনার চেষ্টা করছি।” ইশহাকের দাদা জাফর আলি খান বুধবার রাতে জানান, ভাইয়ের দেহ ফিরে পেতে তাঁরা শিলংয়ে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে আবেদন জানিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.