সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামচন্দ্র নেপালি। অযোধ্যা আসলে নেপালে। সদ্য এমনটাই আজব দাবি করেছেন নেপালের (Nepal) প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। আর এতেই চটে লাল অযোধ্যার পুরোহিতরা। ওলিকে ‘পাগল’ বলে তুলোধোনা করে তাঁরা ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেন, এক মাসের মধ্যে পড়ে যাবে নেপালের বর্তমান সরকার।
প্রভু শ্রী রামকে নিয়ে ওলির বয়ানের নিন্দা করে রাম মন্দির ট্রাস্টের সদস্য মহন্ত দীনেন্দ্র দাস বলেছেন, “অযোধ্যায় সরযূ নদীর কাছে জন্ম নিয়েছিলেম ভগবান রাম। তিনি অযোধ্যারই ছিলেন, এটাই জনপ্রিয় বিশ্বাস। তবে এটা সত্যি যে সীতাজি নেপালের ছিলেন। তবে ভগবান রামও নেপালি ছিলেন, এই দাবি ঠিক নয়। আমরা ওলির মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি।” এদিকে, রাম দল ট্রাস্টের প্রধান রাম দাস মহারাজের ধারণা ওলির বয়ানের নেপথ্যে রয়েছে বিদেশি শক্তি। পাকিস্তানের হয়ে কাজ করছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, আগে নেপাল একটি হিন্দু রাষ্ট্র ছিল। তবে এটি এখন চিন ও পাকিস্তানের কথায় চলছে। শুধু তাই নয়, ওলি এক মাসের মধ্যে গদিচ্যুত হবেন বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেন ওই সাধু। অযোধ্যার আরও এক পুরোহিত মহন্ত পরমহংস আচার্য ওলির প্রতি আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, তিনি নিজেই নেপালি নন। তাই সে দেশের সংস্কৃতির কথা জানেন না, তিনি পাগল হয়ে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, নেপালি কবি ভানুভক্তের জন্মবার্ষিকীর একটি অনুষ্ঠানে কাঠমাণ্ডুতে ওলি দাবি করেছিলেন, ‘‘আসল অযোধ্যা নেপালে। ভগবান শ্রী রাম ভারতীয় নন, তিনি নেপালি।’ প্রসঙ্গত, ভানুভক্ত জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম নেপালে৷ তিনি বাল্মিকীর রামায়ণ নেপালি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন৷ তাঁর মৃত্যু হয় ১৮৬৮ সালে৷ এদিকে, ওলির বক্তব্যে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। নেটদুনিয়ায় তাঁকে নিয়ে শুরু হয় মশকরা। সব মিলিয়ে আজব বয়ানে নিজেই হাসির পত্র হয়ে উঠেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। কয়েকদিন আগেই ভারতীয় ভূখণ্ড নিজের বলে দাবি করে মানচিত্র প্রকাশ করেছে নেপাল (Nepal)। এই উসকানির নেপথ্যে মূল ভূমিকা রয়েছে চিনপন্থী প্রধানমন্ত্রী ওলির। তবে নয়াদিল্লির সঙ্গে বিবাদ উসকে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে এনেছেন তিনি। অতি ভারত বিরোধী মনোভাবের জন্য বিরোধী দল ‘নেপালি কংগ্রেস’ ও নিজের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যেই একঘরে হয়ে পড়েছেন ওলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.