সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৪-য় প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসার পর শপথ নিয়েছিলেন ২০১৯-এর মধ্যে দেশকে স্বচ্ছ করে তুলবেন। যত দিন গিয়েছে, ততই বেড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বচ্ছভারত অভিযানের প্রচার। খেলা থেকে বিনোদুনিয়ার সেলিব্রিটিরাও একজোট হয়েছেন দেশকে আবর্জনা মুক্ত করতে। গ্রামে গ্রামে তৈরি হয়েছে শৌচালয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৬০ শতাংশ শৌচালয় নাকি তৈরি হওয়ার পর খালিই পড়ে রয়েছে। সেসব ব্যবহারে এখনও আগ্রহ দেখাচ্ছে না আমআদমি। আর তাঁদের দীর্ঘদিনের অভ্যেস বদলাতেই আসরে নেমেছে ভারতীয় রেলমন্ত্রক।
নানাভাবে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে। রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, স্টেশনের শৌচালয় এখনও অনেকে ব্যবহার করতে চান না। ফলে নোংরা হয় স্টেশন চত্বর। আর তা রুখতেই অভিনব প্রয়াস নিয়েছে মন্ত্রক। মহাত্মা গান্ধী, ডক্টর বিআর আম্বেদকর, ভগৎ সিংয়ের মতো দেশনায়কদের ছবির মাধ্যমেও মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন বাহুবলী। ভারত ছাপিয়ে গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে এই দক্ষিণী সিনেমা। রেকর্ড অঙ্কের ব্যবসা করেছে এসএস রাজামৌলির ছবি। বিশেষত বাহুবলীর সিক্যুয়েলটি। আর জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ছবির নায়ক প্রভাসকেই এবার স্বচ্ছভারত অভিযানে অভিনবভাবে কাজে লাগানো হল।
একটি বিজ্ঞাপনে দেখানো হচ্ছে, আদিম মানব থেকে ধীরে ধীরে বর্তমানের মনুষ্য রূপ ধারণ করছে মানুষ। আর অবশেষে হয়ে উঠেছেন বাহুবলী। যিনি কিনা সমাজকে স্বচ্ছ রাখতে বদ্ধপরিকর। তাই নিজের আশেপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে আবর্জনা ফেলার জন্য ডাস্টবিনই ব্যবহার করছেন ‘বাহুবলী’। নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে অন্তদ্যোয়া গ্রুপ সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে তাঁদের আচরণগত পরিবর্তন নিয়ে একটি পাইলট প্রজেক্ট শুরু করেছে। আর তারই অংশ হল ‘বাহুবলী’র পোস্টার। বলা হচ্ছে, সমাজকে পরিষ্কার রাখতে গান্ধীজি, ভগৎ সিং, বাহুবলীর মতো হয়ে উঠুন। অন্তদ্যোয়া গ্রুপের তরফে বলা হয়, মানুষের মানসিক, আর্থিক, সামাজিক পরিকাঠামোর উপর তাঁর স্বভাব ও আচরণ নির্ভরশীল। তাই এই পাইলট প্রজেক্টে প্রত্যেককে আলাদা করে বোঝার চেষ্টা করা হবে। এবং সেই মতোই তাঁদের স্বচ্ছতার বার্তা দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে স্বচ্ছভারত অভিযান আরও সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবে বলেই আশা রেলমন্ত্রকেরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.