সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হানিপ্রীতের ‘হানি’ শেষ! পালিতা কন্যা নিয়ে নাকি মোহভঙ্গ হয়েছে বাবা রাম রহিমের। জেলে যাওয়ার পরেও ধর্ষক বাবার সঙ্গ ছাড়েননি হানিপ্রীত। এমনকী জেলে থাকার জন্য ধরনায় পর্যন্ত বসেছিলেন। কিন্তু, কোনও কিছুতেই কাজ হয়নি। বাবাজির বিপদ বুঝে পুলিশ ‘বন্ধু’র সঙ্গে হানিপ্রীতের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চিঠি পুলিশ প্রকাশ্যে আনতে গোসা হয়েছে রাম রহিমের। তাই হানিপ্রীতের নাম মুখে আনা তো দূরের কথা, মুখ দর্শনও আর করতে চাইছেন না। মা, মেয়ে, ছেলে, জামাইদের সঙ্গে দেখা করার কথা জেল আধিকারিকদের বললেও হানিপ্রীতের নাম আর মুখে আনছে না বাবাজি। এমনকী স্ত্রীর নাম শুনলেও মুখ বেঁকিয়ে নিচ্ছে ধর্ষক বাবা। এমনই খবর সুনারিয়া জেল সূত্রে।
জোড়া ধর্ষণ মামলায় ২০ বছরের জেল হয়েছে বাবা রাম রহিমের। একসময় সিরসায় ডেরা সাচা সওদার সদর দপ্তরে সাতশো একর জমিতে থাকা স্বঘোষিত গডম্যান এখন অন্ধকার কুঠুরিতে বন্দি। বিলাসিতা আর নারীসঙ্গ ছিল তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এখন দু’টো কম্বল ছাড়া আর কিছুই নেই। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাবাজির বিপদ বুঝে নতুন সঙ্গীকে নিয়ে বিদেশে কোথাও বাসা বেঁধেছেন পালিত কন্যা। এই খবর শুনে প্রতি মুহূর্তে জ্ঞান হারাচ্ছে বাবাজি। জেল সূত্রে খবর, মাঝে মধ্যেই ঘুমোতে ঘুমোতে চেঁচিয়ে উঠছে সে। ঘুম ভাঙলে দেওয়ালের সঙ্গে কথাও বলছে বাবাজি। নিঃসঙ্গ জীবন নিয়ে ক্রমেই যেন উন্মাদ হয়ে পড়ছে।
প্রথম দিকে জল আর দুধ ছাড়া কিছুই না খেলেও এখন কম পরিমাণে খাওয়া দাওয়া করছে রাম রহিম। শরীর খারাপের ভান করেও খুব একটা লাভ হয়নি তার। কাছে পাওয়ার বদলে পুলিশ ‘বন্ধু’র সঙ্গে হানিপ্রীতের পালিয়ে যাওয়ার খবরে নাকি তার মন ভেঙে গিয়েছে! মা নাসিব কৌর, নিজের মেয়ে চরণপ্রীত এবং আমনপ্রীত, ছেলে জসমীত, ছেলের বউ হুসানপ্রীত, জামাই শানপ্রীত এবং রুহেমিতের সঙ্গে দেখা করার কথা জেল আধিকারিকদের বলছে বাবাজি। কিন্তু, হানিপ্রীত নৈব নৈব চ। নাম নেই স্ত্রীরও।
কেন এমন গোসা? পুলিশের দাবি, হানিপ্রীতের সম্পর্কে মোহভঙ্গ হয়েছে বাবাজির। ক্ষমতা আর ঐশ্বর্যের লোভে সঙ্গে থাকলেও এখন বিপদে রাম রহিম। তাই নিজের ভাল বুঝে হাওয়া হয়ে গিয়েছেন হানিপ্রীত। এটাই তার আরও মনখারাপ আর গোসা বাড়ার কারণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.