সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের বিধায়ক পুত্রের দপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে দশেরার বাজি ফাটানোর সময় আততায়ীদের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গেলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি(Baba Siddique)। লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় এনসিপির অজিত পওয়ার শিবিরের নেতার। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুজনকে। তারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে স্বীকার করে নিয়েছে যে তাদের সঙ্গে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের যোগ রয়েছে। এমনটাই দাবি সংবাদমাধ্যমের সূত্রের। এখনও অধরা তৃতীয় অভিযুক্ত।
ঠিক কী হয়েছিল? শনিবার রাতে পূর্ব বান্দ্রায় দশেরার বাজি ফাটাচ্ছিলেন বর্ষীয়ান নেতা। সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকি বিধায়ক। তাঁর দপ্তরের সামনেই ছিলেন বাবা সিদ্দিকি। আচমকাই সেখানে হাজির হয় তিন অভিযুক্ত। তারা লাগাতার গুলি চালাতে থাকে। মোট তিন রাউন্ড গুলি চলে। অন্তত ছটি গুলি ফুঁড়ে দেয় বাবার শরীর। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। দুজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হলেও তৃতীয় অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। এর পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় রক্তস্নাত বাবা সিদ্দিকির। এখনও পর্যন্ত কোনও দলই এই হত্যার দায়স্বীকার করেনি। কিন্তু অভিযুক্তদের দাবি তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
৬৬ বছরের বাবা সিদ্দিকি গত ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেস ছেড়ে অজিত পওয়ারের এনসিপি শিবিরের হাত ধরেন। তিনবারের বিধায়ক তিনি। তাঁর ছেলেও বিধায়ক। কেন এভাবে বর্ষীয়ান নেতাকে খুন(Murder Case) করা হল তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গঠন করা হয়েছে চারটি স্পেশাল টিম। দুই ধৃতের অন্যতম কর্নেল সিং হরিয়ানার বাসিন্দা। অন্যজন ধরমরাজ কাশ্যপ উত্তরপ্রদেশে থাকেন। সূত্রের দাবি, একমাস আগে তারা নাকি জায়গাটি ‘রেইকি’ও করে গিয়েছিল। হামলার জন্য অটোয় চেপে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিল তারা। ধৃতরা সকলেই কন্ট্রাক্ট কিলার বলে মনে করা হচ্ছে। কে বা কারা তাদের এই খুনের বরাত দিয়েছিল তাও জানার চেষ্টা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.