সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিশুবিক্রির অভিযোগে এবার পদক্ষেপ কেন্দ্রের। মাদার টেরিজা প্রতিষ্ঠিত সমস্ত হোমে এবার তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্র। প্রতিটি রাজ্যকে এ নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেকটা হোমের কার্যাবলী যেন খতিয়ে দেখে রাজ্যগুলি।
[ মাদার টেরিজা ভণ্ড, হোমে শিশুচুরির ঘটনায় বিস্ফোরক তসলিমা ]
মাদার টেরিজার হোম থেকে শিশুবিক্রির অভিযোগে গোটা দেশ উত্তাল। যে মাদার সারা পৃথিবীতে ত্যাগ ও সেবার আদর্শ, যিনি ভারতরত্ন ও নোবেলজয়ী, তাঁর সংস্থাই থেকে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে শিশু। রাঁচির হোম থেকে এই শিশুবিক্রির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ আনে উত্তরপ্রদেশের এক দম্পতি। তাঁদের দাবি, টাকা নিয়েও শেষমেশ তাঁদের হাতে শিশুকে তুলে দেওয়া হয়নি। দত্তক আইনের বদলের পর থেকেই আইনের চোখে ধুলো দিয়ে মাদারের হোমে চলছে শিশুবিক্রি। এই অভিযোগ সেদিকেই ইঙ্গিত করে। এরপরই সক্রিয় হয় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় এক সন্ন্যাসিনী ও এক মহিলা কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে জানা যায়, প্রায় ২৮০ শিশুজন্মের কোনও হদিশই নেই। রেজিস্টারেও অনেক গাফিলতি আছে। এই নিয়েই সারা দেশে শোরগোল। আরএসএস-এর তরফে দাবি করা হয়, মাদারের ভারতরত্ন কেড়ে নেওয়া হোক। সংস্থার দাবি ছিল, মাদারের হোম থেকে শিশুবিক্রির ঘটনা আজকের নয়। বহুদিন থেকেই এই কাজ চলে আসছে। তাছাড়া সেবার নামে ধর্মান্তকরণের ব়্যাকেট চালাচ্ছে সংস্থাটি বলেও অভিযোগ ওঠে। পুরো ঘটনায় তদন্তের দাবি তুলেছিল তারা।
[ কেড়ে নেওয়া হোক মাদার টেরিজার ভারতরত্ন, দাবি আরএসএসের ]
শিশুবিক্রি নিয়ে কেন্দ্রও যে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন তা এই তদন্তের নির্দেশে স্পষ্ট হল। সারা দেশে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির যত হোম আছে, সবগুলিতেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধীর নির্দেশ, সমস্ত রাজ্যে চাইল্ডকেয়ার ইনস্টিটিউটগুলির সঙ্গে সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটির যেন যোগ থাকে। রাজ্যগুলি যেন এই ব্যাপারটি নিশ্চিত করে। মাদারের হোম থেকে শিশুবিক্রির অভিযোগ ওঠার পরেই এ ব্যাপারে সতর্ক করা হল রাজ্যগুলিকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.