ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে অভিযান চালায় সেদেশের সেনাবাহিনী। বেশ কয়েকদিন ধরে মারণযজ্ঞ চলে বলে অভিযোগ। এরপরই সেখান থেকে পালাতে থাকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষরা। যাদের মধ্যে বেশিরভাগ গিয়ে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশের বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে। আর কিছু পালিয়ে আশ্রয় নেয় ভারতে।
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে এই ঘটনা ঘটার পর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি তাদের সাহায্যের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। কীভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। আর এর মাঝে ভারত ও বাংলাদেশে থাকা অনেক রোহিঙ্গা নারী থেকে মাদক পাচার, সব বিষয়েই হাত পাকাতে শুরু করেছে। BSF-এর সদ্য প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তারপর থেকে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়। ত্রিপুরা দিয়েই এই পাচারের কাজ বেশি চলছে বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: ‘সূর্য জপছে ওম’, ভুয়ো ভিডিও টুইট করে ট্রোলড হলেন কিরণ বেদী]
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক বছরে ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে ৯২ জন বাংলাদেশি, ৪১ জন রোহিঙ্গা এবং একজন নাইজেরিয়ান-সহ মোট ১৩৪ জন বিদেশি গ্রেপ্তার হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩২ জন ভারতীয়ও রয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর ইয়াবা ট্যাবলেট, গাঁজা, ফেনসিডিল, মদ ও গরু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই সবগুলির মোট বাজারমূল্য ৩৪.২৭ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবারই জম্মুর একটি সভা থেকে রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে তাড়ানোর হুমকি দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তিনি বলেন, ‘মায়ানমার থেকে পালিয়ে জম্মুতে অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী, তাঁদের এই দেশে জায়গা দেওয়া যাবে না। সংসদে যে মুহূর্তে এই বিলটি পাশ হয়েছে তখন থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে এটা চালু হয়ে গিয়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করার কোনও সময় নেই। তার বদলে এখন দেশজুড়ে ঝাড়াই ও বাছাইয়ের কাজ চলবে। তারপরই ভারত থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে রোহিঙ্গাদের। এই বিষয়ে কোনও আপত্তি ধোপে টিকবে না।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.