সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বই হামলার অন্যতম কুচক্রী তাহাউর রানার পেট থেকে কথা বের করার দায়িত্বে বাংলার মেয়ে! আমেরিকা থেকে ফিরিয়ে আনা জেহাদি রানাকে জেরার জন্য এনআইএ-র বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে। তার মাথায় রয়েছেন এনআইএ-র ডিআইজি জয়া রায় এবং আইজি আশিস বাত্রা। তাঁদের মধ্যে জয়া এই বাংলার মেয়ে। ইতিমধ্যে ঝাড়খণ্ডের ‘জামতাড়া গ্যাং’য়ের পর্দাফাঁস করে শিরোনামে এসেছেন তিনি। এবার পালা তাহাউরের পেট থেকে কথা বের করার।
২৬/১১ মুম্বই হামলা নেপথ্য কার ষড়যন্ত্র? আর কারা কারা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত? কারা জানত এ বিষয়ে? রানাকে জেরা করে এমনই আরও তথ্য পেতে চায় এনআইএ। আর তাই লাগাতার জেরা করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে ১০ জনের একটি টিম তৈরি করে ফেলেছে এনআইএ। সেই তদন্তকারী দলের মাথায় রয়েছেন জয়া এবং আশিস। তাদের লক্ষ্য, মুম্বই হামলা সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য উদ্ধার করা।
জয়া রায়ের জন্ম বাংলায়, ১৮৭৯ সালের ২২ এপ্রিলে। এমবিবিএস শেষের পর ২০১১ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করে আইপিএস হিসেবে ঝাড়খণ্ডের পুলিশে যোগ দেন। তার কেরিয়ারের উল্লেখযোগ্য মামলা ‘জামতাড়া গ্যাং’য়ের পর্দাফাঁস করা। তাঁর চরিত্র নিয়েই তৈরি হয়েছে ওয়েব সিরিজও। ২০১৯ সাল থেকে তিনি সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে আছেন। সেই সময় তাঁকে এনআইএ-র পুলিশ সুপার পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। বর্তমানে জয়া ডিআইজি পদে কর্মরত।
তবে জয়া একা নন, তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে রয়েছেন আশিস বাত্রাও। তিনি ১৯৯৭ সালে ঝাড়খণ্ড পুলিশের ক্যাডার। ২০১৮ সালে ঝাড়খণ্ডের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ইউনিট ‘জাগুয়ারে’র প্রধান ছিলেন। তারপর ২০১৯ সাল থেকে তিনি সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে আছেন। সেই সময় তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য ইন্সপেক্টর জেনারেল পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে তাঁর মেয়াদ আরও দু’বছর বৃদ্ধি করা হয়। জয়া রায়ের সঙ্গে তিনিও তাহাউর রানাকে জেরার দায়িত্বে রয়েছে।
তাহাউর রানা আর পাঁচটা সাধারণ অপরাধীর মতো নয়। জেরার মুখে সহজে ভাঙবে না সে। উপরন্তু রয়েছে আত্মঘাতী হওয়ার পালটা ভয়। এই সমস্ত প্রতিকূলতা ছাপিয়ে রানার থেকে মুম্বই হামলার নেপথ্য কাহিনী বের করে আনাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বাংলার মেয়ে জয়া এবং তাঁর সঙ্গীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.