ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: করোনা পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছিলেন জটিল রক্তের উপসর্গের রোগীরা। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন রাজ্যের হিমোফিলিয়া রোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বর্ষীয়ান চিকিৎসক। অভিনব পন্থায় তাঁদের চিকিৎসা সেরেছিলেন চিকিৎসক বিপ্লবেন্দু তালুকদার। বাংলার ডাক্তারের সেই ভূমিকাকে কুর্নিশ জানাল জাতীয়স্তরের চিকিৎসকরা।
শনিবার ছিল হিমোফিলিয়া ডে। এদিনই দিল্লিতে ড. বিপ্লবেন্দু তালুকদারের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয়। যদিও বিপ্লবেন্দু একার কৃতিত্ব হিসেবে মানতে রাজি নন। সঙ্গীদের সঙ্গে এই সাফল্য ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। কৃতিত্ব দিয়েছেন সঙ্গীদেরও।
রক্ত সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য অনুসন্ধান, গবেষণা এবং তা সঠিক সময় সঠিকভাবে রোগীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার স্বার্থে যৌথভাবে কাজ করছে রাজ্য এবং কেন্দ্র। এই উদ্দেশ্যে ১২ সদস্যের এক কমিটি গঠিত হয়েছে। সেই কমিটির সদস্য ওড়িশা-গুয়াহাটির মেডিকল্যাল কলেজ, দিল্লি এইমস, চণ্ডিগড় পিজিআইয়ের ডিরেক্টররা। এদিকে ড. বিপ্লবেন্দু তালুকদার রাজ্য রক্ত সরবরাহের নোডাল অফিসার তথা অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর। তাঁর কাজকে সম্মান জানিয়ে কেন্দ্রের ব্লাড ট্রান্সফিউশন অ্যান্ড মেডিসিন কমিটির সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
হিমোফিলিয়া রোগীদের রক্তপাত যাতে দ্রুত বন্ধ হয়, তাই তাঁদের বিশেষ অ্যাম্পুল দিতে হয়। লকডাউনের সময় রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের রাজি করিয়ে ওই বিশেষ অ্যাম্পুল রোগীদের বাড়িতে পাঠানো হয়। কারণ অতিরিক্ত রক্তপাত হলে মৃত্যু হতে পারে হিমোফিলিয়া রোগীদের। তাই লকডাউনের সময় হিমোফিলিয়া রোগীদের রক্তপাত শুরু হলে ওই অ্যাম্পুল নিয়ে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এই পদক্ষেপের ফলে উপকার পেয়েছিলেন হিমোফিলিয়া রোগীরা। এবার তাঁর সেই ভূমিকাকে কুর্নিশ জানাল কেন্দ্রের ব্লাড ট্রান্সফিউশন অ্যান্ড মেডিসিন কমিটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.