সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে দেশে দৈনিক করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত কিছুটা কম। কিন্তু আগামী দিনে আরও বেশি সতর্কতার প্রয়োজন বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সামনেই উৎসবের মরশুম (Festival Season)। তারপর আসছে শীত (Winter)। এই সময় শ্বাসপ্রশ্বাসের সংক্রমণজনিত অসুখের প্রাদুর্ভাব এমনিতেই বাড়ে। ফলে আগামী দু’-তিন মাস সময়টা দেশের করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জের হতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সরকারের হয়ে কোভিড সংক্রান্ত বক্তব্য পেশ করতে এসে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ড. বিনোদ পাল জানিয়েছেন, ‘‘আগামী দু’তিন মাসের সময়সীমাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সবাই যাতে মাস্ক পরেন, ন্যূনতম সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলেন উৎসবের দিনগুলোয় সেই ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘শীতকালে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা বাড়ে। এবং কোভিডের মতো অসুখের ক্ষেত্রে শ্বাসযন্ত্রই আক্রান্ত হয়। তাই বাড়তি সতর্কতা দরকার।’’ ভাইরাস যাতে এক ব্যক্তির কাছ থেকে অন্যের কাছে পৌঁছতে না পারে তা নিশ্চিত করার দাবিও জানান তিনি। এপ্রসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘এই কারণেই মাস্কটা এত গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞান ও বাস্তব অভিজ্ঞতা, দুই ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে এটা কতটা কার্যকর। বিজ্ঞান জানাচ্ছে, মাস্ক পরলে সংক্রমণ ৩৬ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।’’
তাহলে আগামী মাসগুলিতে কি আরও বাড়বে সংক্রমণ? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এই প্রশ্নের উত্তরে ড. পাল বলেন, ‘‘শীত আসছে। সেই সঙ্গে শুরু হচ্ছে উৎসবের মরশুম। একটা বৃদ্ধি প্রত্যাশিত। সেই কারণেই সাবধানতা এত গুরুত্বপূর্ণ।’’ প্রসঙ্গত, একই ধরনের সতর্কবার্তা ছিল বর্ষার শুরুতেও। এবং সেই হিসেব মিলেও গিয়েছে। জুলাই মাস থেকে দেশজুড়ে লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে তাই এবারও বাড়তি সতর্কতার কথা বলছে সরকার। মাস্ক পরার ক্ষেত্রে কোনও রকম অবহেলা করা মানেই যে বিপদ আরও বাড়ানো মনে করিয়ে দিচ্ছে সেকথা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.