ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে সন্তানের কাছে তার সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় মা। কিন্তু সেই রক্ষক মা-ই যখন হয়ে ওঠেন ভক্ষক, তখন পরিণতি করুণ হতে বাধ্য! তেমনটাই হল বেঙ্গালুরুতে। পাঁচতলার ব্যালকনি থেকে ৪ বছরের একরত্তিকে টান মেরে নিচে ফেলে দিলেন খোদ জন্মদাত্রী! যে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার নাম সুষমা। তিনি পেশায় একজন ডেন্টিস্ট। ১২ বছর আগে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার কিরণের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। এমনিতে সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু বছর দুয়েক আগে তাঁর মেয়ে ধ্রুতি মূক ও বধির হয়ে যায়। তারপর থেকেই অবসাদে ভুগতে শুরু করেন সুষমা। এমন মেয়েকে আর মানুষ করতে চাইছিলেন না তিনি। আর সেই কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্রথমে একরত্তিকে পাঁচতলার ব্যালকনি থেকে ফেলে দেন তিনি। তারপর ব্যালকনির রেলিংয়ে উঠে দাঁড়ান নিজেও। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীরা এসে সুষমাকে রেলিং থেকে নামান।
গত বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এসআর নগরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন কিরণ। তার ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয় সুষমাকে। সেন্ট্রাল ডিভিশনের ডিসিপি শ্রীনিবাস গোওড়া জানিয়েছেন, “আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখি। জানতে পারি, বাচ্চাটি বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন। সেই কারণেই নাকি অভিযুক্ত মহিলা তাকে ব্যালকনি থেকে নিচে ছুঁড়ে ফেলেন। শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সুষমাকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত মানসিক ভাবে সুস্থ ছিলেন কি না, তাও মেডিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে।”
পুলিশ আরও জানতে পারে, এই প্রথম নয়, এর আগেও মেয়েকে নিজের জীবন থেকে সরিয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন সুষমা। যার জন্য একবার তাকে রেললাইনে রেখে এসেছিলেন। সেই সময় তাঁর স্বামী এসে শিশুটিকে রক্ষা করেছিলেন। যদিও সেই সময় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাননি তিনি। সেবার বাঁচাতে পারলেও এবার সন্তানকে হারালেন বাবা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.