সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও অফিস ছাড়ার আগে শেষ দিনটি সবাই স্মরণীয় করে রাখতে চায়। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রূপেশ কুমার বর্মাও তাই চেয়েছিল। কিন্তু শেষদিন স্মরণীয় করতে তিনি যা করলেন, তাতে গোটা বেঙ্গালুরু অবাক।
রূপেশের শেষ দিনের কাণ্ডকারকানা এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল সাইটে। তিনি যা করেছেন তা ভাইরাল হতে দেরি হয়নি। বরং সোশাল সাইটে রূপেশের ছবির ছড়াছড়ি। অবশ্য হওয়ারই কথা। রূপেশ করেছেনই এমন কাজ। চাকরির শেষ দিন তিনি অফিসে গেলেন ঘোড়ায় চেপে। শুধু তাই নয়। সবাইকে জানাতে একটি প্ল্যাকার্ডও লাগিয়েছিলেন তিনি। তাতে লেখা ছিল, “সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে শেষ কাজের দিন।” জামাকাপড় তিনি ফর্মালই পরেছিলেন। তারপর সাদা ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে অফিস গিয়েছিলেন তিনি।
[ প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী! পায়ে হেঁটে ‘দিল্লি চলো’ অভিযান ওড়িশার যুবকের ]
তবে তাঁর এমন কাজের পিছনে যথেষ্ট কারণ ছিল। বেঙ্গালুরুর ট্রাফিক নিয়ে বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এটি ছিল তাঁর প্রতিবাদ। একটি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, গত আট বছর ধরে তিনি বেঙ্গালুরুতে থাকেন। কিন্তু শহরের দূষণে তিনি ক্লান্ত। বেঙ্গালুরুর জনসংখ্যা প্রচুর। সেই পরিমাণে রয়েছে গাড়িও। ফলে ট্রাফিক জ্যামও হয়। তাই তিনি ঘোড়ায় চড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে রূপেশের এই যাত্রা সুখকর হয়নি। অফিসের গেটে সিকিউরিটি তাকে আটকায়। কিন্তু তিনি বোঝান, ঘোড়াও যাতায়াতের একটি মাধ্যম। তাহলে গাড়ি পার্ক করা গেলে, ঘোড়া নয় কেন?
[ “ধর্মকে বাঁচানোর জন্যই খুন করেছি গৌরী লঙ্কেশকে”, স্বীকারোক্তি অভিযুক্তর ]
রূপেশের ঘোড়ায় চড়া সেই ছবি এখন ফেসবুকে ভাইরাল। টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে ছবি। রূপেশ কিন্তু ভাবেননি তাঁর ছবি এভাবে ভাইরাল হবে। তিনি জানিয়েছেন, এটি তাঁর চাকরির দিন ছিল। ট্রাফিক জ্যামের উপর হতাশ হয়ে তিনি এই পথ নেন। ট্র্যাফিক জ্যামের জন্য মানুষ একই জায়গায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকে। এর পরিবর্তন দরকার বলে মনে করেন তিনি। চাকরি ছাড়ার পর নিজেই কিছু শুরু করতে চান রূপেশ। তবে ঠিক কী করবেন, তা এখনই প্রকাশ করতে চান না তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.